ষষ্ঠ দফা অর্থাৎ ১২ মে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন৷ আর তার আগেই সেখানে সভা করবেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্করের সমর্থনে তাঁর সভা করতে আসার কথা কানাঘুষো যাচ্ছিল৷ সেই জল্পনাকে সত্যি করে ৫ মে তিনি তমলুকে সভা করবেন৷
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যে লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত দখল করে রেখেছে। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তিনটি বিধানসভা বামপন্থীদের হাতে। সেখানে দাঁড়িয়ে লোকসভা আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য মন্ত্রিত্ব হওয়ার তাগিদে ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী উপনির্বাচনে কয়েক লক্ষ ভোটে জয়লাভও করেছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে সেই ভোট ধরে রাখতে পারবে কি তৃণমূল?
রাজ্যের মধ্যে একমাত্র সংগঠন পূর্ব মেদিনীপুরই ছিল বামপন্থীদের। শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে উন্নয়ন। কিন্তু নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর রাজ্য থেকে বিদায় নিয়ে ছিল বামপন্থী। তৃণমূল কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ নিজেদের দখলে রেখেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর নদীয়া থেকে এসেছেন। সেই প্রার্থী নতুন হলেও তার জনসংযোগ বেড়েছে। তার মধ্যে দেওয়াল লিখন মুছে ফেলার অভিযোগ তুলেছে শাসক দলের উপর।
প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসছে। অনেক আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তাঁর প্রচার। দলের কর্মী সমর্থকদের মনোবল ফেরাতে সত্যিই হলদিয়া হ্যালিপ্যাড ময়দানে ৫ মে রবিবার আসছে নরেন্দ্র মোদী৷ জানালেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ৫ মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আসছেন। শিল্প নগরী হলদিয়াতে মোদীজীর সভা হবে। এই তাম্রলিপ্ত জেলায় প্রথম নরেন্দ্র মোদী আসছেন। এখানে তিনি আসাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে একটা বিরাট শোরগোল পড়ে গিয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সভা কিভাবে বন্ধ করা যায়, কিভাবে রোখা যায়! বাস, ট্রেকার, গাড়ি বনধের হুমকি চলছে এবং যে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাবে তার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। তার বধূকে ধর্ষণ করা হবে। এই সমস্ত নোংরামি তৃণমূল চরম আকারে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সভা আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করতে চাই। তার জন্য আমরা প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সভায় প্রচুর মানুষ আসবেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের দরবারে প্রধানমন্ত্রীর বিরাট ভূমিকা এসে গিয়েছে। তাই মানুষ তার জন্য পাগল। অতএব সভায় মানুষ যাবেই।’’