বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের উপর গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে পঙ্কজ ঘোষ সহ আরও কয়েক জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। রবিবার নিশীথবাবু জানিয়েছেন, তুফানগঞ্জ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
শনিবার সন্ধায় বিজেপি ও তৃণমূলকর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তুফানগঞ্জ। আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল যুব নেতা নিশীথ প্রামাণিক অভিযোগ করেন, ধনপল এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কিন্তু অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ।
এ দিকে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ গতকালই পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। নিশীথ প্রামাণিকই প্রচুর গাড়ি নিয়ে ধলপল এলাকায় ঢুকে আতঙ্ক তৈরি করেছেন।”
আজ নিশীথ প্রামাণিক অভিযোগ করেন, অনুমতি নিয়ে প্রচারে গেলেও রবিবার তাঁদের প্রচারে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, “শিতলকুচিতে প্রচারে যাওয়ারর সময় মাথাভাঙা থানার আইসি প্রদীপ সরকার ফোন করে আমাদের হুমকি দেন। জেলার নির্বাচন আধিকারিক অর্থাৎ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার দলদাসে পরিণত হয়েছেন । এঁদের রেখে নির্বাচন সম্ভব নয় ।’’
তিনি জানান, এঁদের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানাচ্ছে বিজেপির । সোমবার থেকে এর বিরুদ্ধে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিজেপি ধর্নায় বসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত মাসের ২৮ তারিখ দলবল নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নিশীথ। তারপর একেবারে প্রার্থী হয়ে ২২ মার্চ কোচবিহারে ফেরেন তিনি।দোলের দিন সন্ধেবেলা কেন্দ্রীয় বিজেপি দফতর থেকে কোচবিহারের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন জেলা বিজেপির নেতা কর্মীদের একাংশ। দলের জেলা দফতরে ভাঙচুরও চালানো হয়। কিন্তু পরের দিন নিশীথ জেলায় পা রাখতেই বদলে যায় ছবি। দলের কর্মী সমর্থকদের মিছিলে একরকম ভেসেই মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে যান নিশীথ। তারপর থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তরুণ এই নেতা।