লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নিয়ে ব্যস্ত প্রার্থীরা৷ রাজ্যে শাসকদল থেকে বিরোধীদলের প্রার্থীরা জনসংযোগে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁদের এলাকার প্রায় প্রতিটি কোনায়৷ বাঁকুড়া থেকে গতবার জয়ী হয়েছিলেন মুনমুন সেন৷ ২০১৪ সালে বাঁকুড়া আসন থেকে সিপিএমের দীর্ঘ দিনের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে পরাজিত করে জয়ী হন তিনি। এবার তিনি আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে লড়ছেন৷ এদিকে বাঁকুড়ায় তাঁর জায়গায় এসেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷
এদিকে বাংলাকে পাখির চোখ করে লোকসভায় বাজিমাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবিরও৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই দাঁড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার৷ ইতিমধ্যে প্রচার কার্যও শুরু করে দিয়েছেন জোরকদমে৷ শনিবার ভোটপ্রচারে এবার তিনি বেছে নিলেন বাঁকুড়া রেলওয়ে স্টেশনকেই৷
দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বাঁকুড়া স্টেশনের ফুটব্রীজ ধরে একেবারে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে গিয়ে তিনি উপস্থিত ট্রেনযাত্রী থেকে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের হাতে তুলে দেন দলীয় বার্তা লেখা লিফলেটও। বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকারের এই প্রচার ভাবনায় অভিভূত সাধারণ মানুষ। এদিন তিনি স্টেশনে উপস্থিত বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন। আগামিদিনে তিনি বাঁকুড়ার মানুষের সুখে, দুঃখে থাকবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছতে গেলে যেখানে মানুষের সমাগম বেশি সেখানেই যাওয়া প্রয়োজন। ‘বিজেপি সাধারণ, খেটে খাওয়া, গরীব মানুষের জন্য কাজ করে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেই জন্যই রেল স্টেশনের মতো জনবহুল জায়গা গুলিতে পৌঁছে যাচ্ছি’। তাদের এই প্রচার যুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি৷
একনজরে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন দলের প্রার্থী-
তৃণমূল- সুব্রত মুখোপাধ্যায়
বিজেপি- ডাঃ সুভাষ সরকার
সিপিএম- অমিয় পাত্র