নির্বাচনী প্রচারে নেমে রাজ্য সরকারে উপর একের পর এক তোপ দাগছেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তিনি বলেন, এই সরকার চলছে পুলিশের সাহায্যে একদিন যদি পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয় এই সরকার পড়ে যাবে। ঘাটাল লোকসভার প্রার্থী ভারতী ঘোষ অাজ ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে একটি সভা করেন। সেই সভায় তিনি রাজ্য সকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, মানুষ অসুস্থ হলে ডাক্তার ডাকে আর সরকার অসুস্থ হলে পুলিশকে ডাকে। এরা পুলিশকে সামনে রেখে, অন্যায় কাজ করে অার থানায় লুকিয়ে পড়ে। এই মেদিনীপুর ও ঘাটালের পুলিশকে একদিন ছুটি দেওয়া হোক। একদিনের জন্য থানায় তালা দেওয়া হোক এই সরকার পড়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ সরে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গে থাকবে না, সরকার দৌড়ে গিয়ে নেপাল, বাংলাদেশে বা ইমরান খানের পাকিস্তানে আশ্রয় নেবে।
রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এদের লজ্জা নেই আর লজ্জা হবেও না। আপনারা ঘাড় ধরে বের করে দিলেও লজ্জা হবে না। লজ্জা মানুষের থাকে, লজ্জা ম্যানুফ্যাকচার করা যায় না। লজ্জা থাকলে যখন হাজার হাজার মানুষের টাকা মেরে সারদার কর্তা ও রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা এসি রুমে বসেছিলেন তখন কাউকে সত্যাগ্রহ করতে দেখা যায়নি।একজন কমিশনারের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারীকরা যেতেই শুরু হল সত্যগ্রহ। সারদার পর এল নারদা সবাই আপনারা দেখলেন কিভাবে টাকা ঢুকছে টেবিলের তলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইলেকশন ক্যাম্পে গিয়ে বললেন, আমি আগে জানলে এদের টিকিট দিতাম না। আগে জানেননি পরে তো জেনেছেন, কি করেছে। তখন একটা লোকেরও কেস হয়নি। কেস হয় কার মকুল রায়, ভারতী ঘোষ, আনিসুর রহমানের অর্জুন সিংহের, যদি তারা বিজেপিতে যোগদান করে তবেই না হলে হয় না। যে বিজেপি করবে তাকেই জেলে যেতে হবে। তৃণমূল করলে হোটেলে যাবে, বাগান বাড়িতে যাবে।