পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে জটিলতার মুখে পড়েন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। এরপরই সামনে এলো করুণাময়ী রানি রাসমণি ধারাবাহিকে রাজা রাজ চন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করা গাজী আবদুন নূর নামে আরেক অভিনেতার নাম।
বিজেপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে অবশেষে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন ফেরদৌস আহমেদ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আগত বিজি-০৯৬ ফ্লাইটে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
তবে অভিনয় করার ভিসা নিয়ে ভারতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রচারে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ায় নির্বাচন কমিশনের নজরে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি শিল্পী।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অভিযোগ, একাধিক বাংলাদেশি শিল্পীসহ তারকাদের দেখা গেছে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে।
এমন ঘটনার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে আরও এক বাংলাদেশি। যাকে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্রের হয়ে প্রচারে অংশ নিতে দেখা গেছে।
তিনি হলেন, ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকে রাজা রাজ চন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করা গাজী আবদুন নূর।
রাম নবমীতে খোলকরতাল নিয়ে বেরিয়েছিলেন মদন মিত্র। ভবানীপুর এলাকায় তার সঙ্গে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন নূর। এ ছাড়া দমদমে সৌগত রায়ের প্রচারেও ছিলেন নূর। একটি হুডখোলা গাড়িতে নূরকে সঙ্গে নিয়ে ভোট চেয়েছেন মদন মিত্র।
এ ঘটনায় নূরও ইতিমধ্যে ফোন পেয়েছেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাস থেকে। তিনি প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে তার কাছে।
মঙ্গলবার ফেরদৌসের এ ঘটনা সামনে আসার পর ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ সিরিয়ালের অভিনেতা নূর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, মদন মিত্র তার দাদার মতো। তার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নির্বাচনী প্রচারে অংশ কথা অস্বীকার করেন তিনি।
তিনি জানান, তার মা যখন অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তখন মদন মিত্র তাকে অনেক সাহায্য করেছেন। সেই থেকে মদন মিত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক ভালো।
সেই সম্পর্কের খাতিরেই মন্দির দর্শন করে ফেরার পথে দেখা করেন তৃণমূলের এই নেতার সঙ্গে।
তিনি বলেন, কলকাতায় নিজের গাড়ি না থাকায় সেদিন মদন মিত্রের গাড়িতে ফিরছিলেন। আর সেই গাড়ি থেকে নেহাতই অভিনেতা সুলভ হাত নেড়েছেন ভক্তদের উদ্দেশে। এতে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।
গাজী আবদুন নূরের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলায়।
যুগান্তর