আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত শহর জয়গাঁও-তে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাইক র্যালিতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।জয়গাঁও-এর ঝর্না ব্রিজের কাছে দিলীপবাবুর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারি ও বিজেপির আর এক জেলা নেতার দুটি দামি গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে যায়।
দিলীপ ঘোষ এদিন গোটা ঘটনার পরিপেক্ষিতে অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের দিকে। তার কথা, তৃণমূল ও তাদের আশ্রিত গুন্ডারা এমন কাজ করতে পারে।নঅন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামী।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে আজ বৃহস্পতিবার ভারত-ভূটান সীমান্তের জয়গাঁও শহরে যান রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে প্রায় ১০০-১৫০বাইক নিয়ে একটি মিছিল করা হয়। ওই মিছিল জয়গাঁর জিএসটি মোড়ের কাছে পৌছাতেই একদল স্থানীয় জনতা কালো মাস্ক ও কালো পতাকা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে “গো ব্যাকের” স্লোগান দিতে থাকে। এরপর মিছিল আরও কিছুটা এগিয়ে গেলে তার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি এবং এক জেলা নেতা কমল লামা পাখরিনের দুটি দামি গাড়ির কাচ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপবাবু জানান,“পশ্চিমবাংলায় হিংসার রাজনীতি চলছে। গত ৪-৫ বছরে রাজ্যে আমাদের প্রায় ৪-৫ হাজার কর্মীকে খুন করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় ৪-৫জন এমনকি গতকালও একজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপি-কে আটকাবার জন্য সোজাসুজি খুন করা হচ্ছে কিন্তু তাতেও বিজেপি-কে আটকানো যাচ্ছে না। কারন সাধারন মানুষ এখন আমাদের সাথে চলে এসেছে। এটা দিল্লির নেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বিষটি জানেন। সেজন্য গতকালও প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। সেজন্য পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক পালাবদল প্রয়োজন। বিজেপি-র সরকার এলে রাজ্যে হিংসা বন্ধ হয়ে যাবে। আজকেও র্যালিতে আমাদের উপর হামলা হয়েছে,ভকালো পতাকা দেখানো হয়েছে, গো ব্যাক বলা হয়েছে। এটাতে নতুন কিছু নেই। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এখন বিজেপি-র পতাকা দেখা যাচ্ছে। এই ভয়েই তারা হিংসা করছে,ভখুন করছে।”
প্রশ্ন ছিল কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে? দিলীপবাবু স্পষ্ট জানান,ভ“টিএমসি-র গুন্ডাবাহিনীর সাথে কিছু সমাজবিরোধীরা মিলিতভাবে এই হামলা চালিতেছে।” অন্যদিকে পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, তৃণমূল এমন নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে। ঢিল ছোরা ও কালো পতাকা দেখানোর কাজকে আমরা সমর্থন করি না। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশেষ করে পাহাড়ের নেপালী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে বিজেপি ঠকিয়েছে।সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। হয়তো সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিন পুষে রাখা চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।