কিছুদিন আগে নরেন্দ্র পুর থানার অন্তর্গত খেয়াদহ অঞ্চলে আজগর আলী নামে এক ব্যক্তি বছর বয়সী একটা বাচ্চা মেয়েকে পেয়ারার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই শিশু। একই সঙ্গে খোঁজ মিলছিল না স্থানীয় যুবক আজগর আলির(৪০)। সন্দেহ হওয়ায় আজগরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে শিশুর পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আজগরকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিস।
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, সেদিন বছর পাঁচেকের ওই শিশুকে পেয়ারার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে আজগর। ধর্ষণের সময় শিশুটি সাধ্যমতো বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই ব্যক্তি। এরপর শিশুর মৃতদেহ ফেলে দিয়ে যায় জঙ্গলে। নাবালিকার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস।
ঘটনাটি ঘটার পর সোনারপুর নগরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কার্যকর্তারা বাচ্চা মেয়েটার বাড়িতে যায় এবং তার বাবা মার সাথে কথা বলে এবং সমস্ত রকম সহযোগিতার কথা বলে । আজ বিকালে ২৫/০৭/১৯ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তিনজন কার্যকর্তা লক্ষণ মণ্ডল দেবাশীষ চক্রবর্তী এবং প্রদীপ্ত নস্কর মেয়েটির বাবা মার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের এক কার্যকর্তার অভিযোগ, ঠিক তখনই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ওখানে চড়াও হয়ে ওই তিন কার্যকর্তার উপর মারধর শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেয় ।
আজকের রাত্রি বেলায় নরেন্দ্রপুর থানায় ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ডায়রি করা হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন ঐ নাবালিকার দেহ শনাক্তকরণের জন্য তার বাবা-মাকে আনা হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। দেহটি শনাক্তকরণের পর তা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে খুনের জন্য দোষী আজগরের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন নিহত শিশুর মা।
RSS-এর দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত কার্যবাহ জিষ্ণু বসু জানান “এই নারকীয় ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। যারা এই জঘন্য অপরাধের শাস্তি চাইছে গতকাল তাদের উপরেই ভয়ানক হামলা হয়েছে। পুলিশের উচিৎ তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।”