যাঁর নিজের টিকিটের হদিশ নেই সে আমাকে কীভাবে টিকিট দেবে! অনুপম হাজরার বক্তব্য, আমি তৃণমূলে যাব না, উল্টে অনুব্রত মণ্ডলই কৌশলে গতকাল বিজেপিতে আসার জন্য ইট পেতে রাখলেন। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ, একটি মৃত্যু নিয়ে তাঁর সঙ্গে রাজনীতি হয়েছে। এমনটা যে হবে তা নাকি তাঁর জানা ছিল না।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। শুধু দেখা করাই নয়, অনব্রত সঙ্গেই মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন অনুপম। মিডিয়াকে সাক্ষী রেখে অনুপমের গলা জড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, অভিমান করেছিল। ও চাইলে আবার দলে (তৃণমূলে) ফিরিয়ে নেব। দিদিকে বলে রাজ্যসভার টিকিট দিয়ে দেব। এরপরই হইচই শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। অনুপম-অনুব্রতর এই কাণ্ডে শাসক দল যেমন নিজেদের রাজনৈতিক জয় দেখেছে। উল্টে দিকে মহা অস্বস্তিতে পড়েছিল বিজেপি। প্রশ্ন ওঠে, ভোটের দিন যখন বীরভূম সহ গোটা রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের হাতে মার খাচ্ছে তখন তৃণমূলের দাপুটে নেতা ‘নকুলদানা’ অনুব্রতর সঙ্গে পাত পেড়ে ভাত খানে কীভাবে অনুপম? কীভাবেই বা ‘শত্রু’ শিবিরের সেনাপতির গলা জড়িয়ে ছবি তোলেন? এতে করে যে গেরুয়া কর্মীদের মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকবে তা বলা বাহুল্য। সেই ঘটনার পর আজ ড্যামেজ কন্ট্রোলেই অনুপম হাজরাকে সঙ্গে নিয়ে মুকুল রায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে অনুপম বলেন, আমি গিয়েছিলাম একটি মৃত্যুর ঘটনায় সমবেদনা জানাতে। সেখানে যা হয়েছে তার টুকরো অংশ সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে। বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
অনুপমের মতে বীরভূমে সোমবার ভোট দিতে গিয়ে ব্যক্তিগত কারণে অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কয়েকদিন আগে ‘কেষ্টকাকু’র মা প্রয়াত হয়েছেন। প্রতিবেশী হিসাবে সমবেদনা জানাতেই গিয়েছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যম অযথা হইচই করছে!