কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। যা নিয়ে দেশে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে NSA অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অরবিন্দ কুমার উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে RAW প্রমুখ সামন্ত কুমার গোয়েল, CRPF এর মহাপরিচালক কুলদীপ সিং এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহাও উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। NSA ও RAW প্রমুখের উপস্থিতি বৈঠকের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকের দাবি, বড়ো কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই বৈঠক তার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ধারা 370 অপসারণ, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার পর জম্মু কাশ্মীরকে নিয়ে আবারও বড়ো কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে দেশ এগোচ্ছে বলে দাবি একাংশের।
মাত্র কয়েকদিন আগেই জম্মু কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০০ কোম্পানি অর্থাৎ ২০,০০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জম্মু কাশ্মীরে নিযুক্ত করার পর শুক্রবার হাই-লেভেল মিটিং বড়ো পদক্ষেপের ধারণকে শক্তিশালী করেছে। যদিও সরকার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতারা এবং প্রশাসনিক কর্তারা এই সমস্ত ধারনাকে খারিজ করেছে। যদিও যে কোনো বড়ো অপারেশনের ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনকে একটু নীরব থাকতেই দেখা যায়।
লক্ষণীয়, জম্মু কাশ্মীরের বিজেপি বিরোধী সমস্তু পার্টির নেতারা সরকার ও প্রশাসনের মুভমেন্ট নিয়ে চিন্তা প্ৰকাশ করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক আরো একবার জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরাতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে সরকার কি করতে চাইছে এই বিষয়ের ভারতীয়দের মনে বড়ো কৌতুহল তৈরি হয়েছে।