আদালতে ধাক্কার পর ধাক্কা চলছিলই। কিন্তু শনিবার যেন আরও বড় ধাক্কা খেলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। রাজীবের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর আদালত। শুনানি শেষ হয়েছিল বিকেলে। রাত আটটা নাগাদ আদালত জানিয়ে দিল, চিটফান্ড মামলায় আগাম জামিন দেওয়া যাবে না কলকাতা ও বিধাননগরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে।
শনিবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের আগাম জামিনের শুনানি হয় আলিপুর আদালতে। শুনানির মাঝেই এ দিন বিচারক কুড়ি মিনিটের একটি বিরতি দেন। সিবিআই এবং রাজীবের আইনজীবীদের আদালত বলে, আপনারা বসে নিয়ে তালিকা জমা দিন যে, কতবার রাজীব কুমারকে ডেকেছিল সিবিআই। কোন কোন তারিখে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এবং কোন কোন দিন তিনি গিয়েছিলেন বা যাননি। এই বিরতির পর শনিবার দুপুর সওয়া দুটোর পর ফের শুনানি শুরু হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁরা সওয়ালে বলেন, এই মামলার সামাজিক গুরুত্ব বিপুল। তদন্তের ব্যপ্তিও অনেক বড়। আলিপুর আদালতই কদিন আগে রায় দিয়েছে যে, সিবিআই চাইলে রাজীবকে গ্রেফতার করতেই পারে।
সিবিআইয়ের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। এই অবস্থায় তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। এরপরেই রাত আটটা নাগাদ আদালত আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্ট গত শুক্রবার রাজীবের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছিল। তারপর আদাজল খেয়ে নামে সিবিআই। দু’বার রাজীবকে হাজিরার নোটিস দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। কিন্তু যাননি এই আইপিএস অফিসার। এরপর গত সোমবার রাজীব যান বারাসত আদালতে। সেখান থেকে জেলা জজ কোর্ট হয়ে মামলা গড়ায় আলিপুর আদালতে। কিন্তু প্রতিটি আদালতেই ধাক্কা খেতে হয় সিটের প্রধানকে।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার শহর জুড়ে তল্লাশিতে নামে সিবিআই। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ইমেল করে রাজীব কুমারের ফোন নম্বর জানতে চায় সিবিআই। আলিপুরের আইপিএস মেস, রাজীব কুমারের পার্ক স্ট্রিটের বাড়ি, রুবি মোড়ের ভিভান্তা হোটেলে হানা দেয় সিবিআই-এর দল।