বছর মুর্শিদাবাদে নাগরিক সংশোধনী আইন (CAA) বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বেশ কিছুজন। সেখান থেকেই আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত ৬ জন। এই তথ্য জানার পরই ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) আরও একটি বিষয়ে সম্পর্কে খোঁজ নিতে এই মুহূর্তে অত্যন্ত তৎপর। দিল্লি হিংসার নেপথ্যেও কি মদত যুগিয়েছিল এই জঙ্গিরা? আজ এদের জেরা করে এই তথ্যই পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিনও কেরলের এর্নাকুলাম থেকে ধৃত ৩ জনকে এই ছ’জনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা চলবে। এদিকে, দিল্লি হিংসার চার্জশিটে জুড়ল আরেক হাই-প্রোফাইল রাজনীতিকের নাম। সলমন খুরশিদের নাম রয়েছে ১৭ হাজার পাতার চার্জশিটে। সীতারাম ইয়েচুরি, যোগেন্দ্র যাদব, উমর খালিদদের সঙ্গে নাম রয়েছে এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারও। এ নিয়ে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, কী ধরনের উসকানির অভিযোগ রয়েছে, তা তিনি জানতে চান।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত যত এগোচ্ছে, আল কায়দা যোগ সন্দেহে ধৃত জঙ্গিদের সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে এনআইএ’র। গত বছর নাগরিক সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনের জেরে নজিরবিহীন হিংসার ছবি দেখেছিল রাজধানী দিল্লি। সংঘর্ষ, খুন, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনায় জর্জরিত হয়ে উঠেছিল রাজধানীর রাজপথ। তদন্তে নেমে চলতি বছর সেই হিংসার ঘটনার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। তাতে বহু হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম থাকলেও, এনআইএ’র সন্দেহ, এই ঘটনার আড়ালে কোথাও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর হাত থাকতেই পারে।
ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত আবু সুফিয়ানের বাড়িতে অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছে। রয়েছে লেদ মেশিন, রকেট লঞ্চার-সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। সেসব কোথায় সরবরাহ করা হত, জানতে চান তদন্তকারীরা। এর আগে একজনের বাড়িতে মাটির নিচে খোঁড়া সুড়ঙ্গ নজরে এসেছিল তদন্তকারীদের। এবার অস্ত্র কারখানার যাবতীয় সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে বিশদে তদন্ত চলবে। অন্যদিকে, লস্কর-ই-তইবা যোগে গত বছর বাদুড়িয়া থেকে ধৃত কলেজ ছাত্রী তানিয়া পারভীনকে সঙ্গে নিয়ে এদিন বেঙ্গালুরু গেল এনআইএ-র একটি দল। আজ তাকে সেখানকার আদালতে পেশ করা হবে। পাশাপাশি, তানিয়াকে হেফাজতে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে জঙ্গি নেটওয়ার্কের হদিশ চলবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। দেখা হবে, কেরলের পর কর্ণাটকেও এই জঙ্গি সংগঠন জাল বিস্তার করেছে কি না। মুর্শিদাবাদে জঙ্গিদের গ্রেফতার করার পর মালদহেও নজর রয়েছে এনআইএ-র।