গত কয়েক মাসে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সমস্যাকে কেন্দ্র করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কলকাতা মেট্রো৷ শুক্রবারও তার অন্যথা হল না৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ব্যস্ত সময়ে মেট্রোর রেকে সমস্যা দেখা দেয়৷ দমদম-গড়িয়া রুটে মেট্রো রেকের দরজা বন্ধ হতে সমস্যা হয়৷ যার প্রভাব পড়ে পরিষেবায়৷
প্রতি স্টেশনেই মেট্রো ছাড়তে দেরি হয়৷ অফিসটাইমে এই ঘটনা ঘটায় ভিড় বাড়তে থাকে যেমন, তেমনই যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ পেতে থাকে৷ অফিস যাওয়ার সময় এই পিক টাইমে এই ঘটনা ঘটায় চরম হয়রানির শিকার হন তারা৷ তবে কতক্ষণে সমগ্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা এখনও জানা যায়নি৷
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায় মেট্রো স্টেশনে৷ ১৩ই জুলাইয়ের ঘটনা৷ সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিট নাগাদ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে ডাউন লাইনে ময়দান মেট্রো স্টেশনে৷ এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি মেট্রোতে উঠতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত উঠতে পারেননি৷ তাঁর হাত আটকে যায়, সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে নিয়ে যায় মেট্রো৷ গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভবপর হয়নি৷
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয় দুটি মামলা৷ মামলাগুলির প্রেক্ষিতে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ ৬৬ বছর বয়েসী সজল কাঞ্জিলাল কসবার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ তাঁর এই মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় কলকাতার গর্বকে৷ মেট্রো রেলের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এই ধরণের ঘটনা প্রথম৷ এজন্য মেট্রোর যান্ত্রিক ত্রুটিকেই প্রাথমিকভাবে দায়ি করা হচ্ছে৷ তবে চালককে কেন সতর্ক করা গেল না, তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন৷
তবে এরপরেও, গত ২৩ জুলাই, আবারও মেট্রোর দরজায় আটকে যায় যাত্রীর হাত৷ তবে প্রাণহানি আটকানো সম্ভবপর হয়৷ ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গে৷
জানা যায়, এদিন নেতাজী ভবন মেট্রো স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ ওই যাত্রী মেট্রোর কামরার ভিতরেই ছিলেন৷ কোনও ভাবে ভিড়ের চাপে তাঁর হাত আটকে যায় দরজায়৷ অন্যান্য যাত্রীদের মনে ফিরে আসে সজল কাঞ্জিলালের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার আতংক৷ তবে এবার কোনও রকমে রক্ষা পান ওই যাত্রী৷ দ্রুত মেট্রোর চালককে জানানো হয়৷ তড়িঘড়ি ট্রেন থামিয়ে দেন চালক৷