লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর দেশে এক্সিট পোল বেরিয়ে গেছে। এখন এক্সিট পোলের উপর রাজনৈতিক চর্চাও শুরু হয়ে গেছে। জানিয়ে দি, এক্সিট পোলের ফলাফলে একটা বিষয় একই বেরিয়ে এসেছে যে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi ) পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে এক্সিট পোলের এই ফলাফল মানতে রাজি নয় বিরোধী দলগুলি। তাদের মতে এক্সিট পোলের উপর বিশ্বাস করা যায় না, আসল ফলাফল দেখতে হলে ২৩ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আসলে এক্সিট পোল বেরিয়ে আসার জন্য বিরোধীদের আগে থেকে তৈরি রাখা বাহানার উপর জল ঢালা যাচ্ছে।
এক্সিট পোলের আগে আগেই বিরোধীরা অনুমান করে নিয়েছে, মোদী ঝরে আবার দেশের NDA সরকার গঠন হতে চলেছে। এর জন্য হারের পর বেশকিছু বাহানাও তৈরি রাখা হয়েছে। যার মধ্যে কিছু কিছু এখন থেকেই বলা শুরু হয়ে গেছে। ২৩ তারিখ হারের পর বিরোধিরা মূলত যে বাহানগুলো করবে সেগুলি হলো-
প্রথম- EVM হ্যাক: বিরোধীরা দাবি করবে যে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী পরিকল্পনা করে EVM হ্যাক করে নিয়েছে। অবশ্য NCP নেতা শরদ পাওয়ার আগেই বল দিয়েছেন, বুথের সামনে থাকা টাওয়ারের মাধ্যমে EVM চিপ হ্যাক করা যায়।
দ্বিতীয়-VVPAD ভেরিফিকেশন: এটা নিয়ে এখন থেকেই বিরোধীরা প্ৰশ্ন খাঁড়া করে।দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের উপর সন্দেহ প্রকাশ করেছে। সব ভোট BJP কে চলে যাচ্ছে তাই VVPAD ভেরিফিকেশন নিয়ে বাহানা তুলবে বিরোধীরা।
তৃতীয়: EVM পরিবর্তন: বিরোধীরা এটাও একটা নতুন বাহান করবে যে নির্বাচন কমিশন বিজেপির ইশারায় কাজ করেছে। BJP এই নেতৃত্বে EVM পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হবে।
চতুর্থ: ভোট বিন্যাস: কোনো বাহানা কাজ না করলে ভোট ব্যাঙ্ক টেনে নেওয়ার কথা বলা হবে। যেমনটা সম্প্রতি দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেছেন। কেজরিওয়াল বলেছেন, দিল্লীতে আমি সব আসনে জিতে যেতাম কিন্তু মুসলিমরা ভোট কংগ্রেসকে দিয়ে দিয়েছে। ২৩ তারিখের পর সমস্থ বিরোধী পার্টি জাতিগত রাজনীতি করার জন্য এমন বাহানা খুঁজবে।
পঞ্চম: ইলেকশন কমিশনের উপর দোষারোপ: ২৩ তারিখের উপর বিরোধীরা এটাও দাবি করতে পারে যে নির্বাচন কমিশন তাদের সাথে সঠিক ব্যবহার করেনি। নির্বাচন কমিশন তাদের প্রচারের সময় অন্যায্য ভাবে ব্যান লাগিয়েছিল। তাই তারা হেরেছে বলেও দাবি করা হবে।
এই সমস্ত বাহানাগুলি দেশ শোনার জন্য দেশবাসীর তৈরি থাকা উচিত। ২৩ তারিখের পর কংগ্রেস, বামপন্থী, TMC SP,BSP, AAP এর মতো পার্টিগুলির ঠেল এই ধরনের বাহানা শোনা যেতে পারে।