(প্রথম ভাগের পর)http://ritambangla.com/national/a-review-on-seventeenth-lok-sabha-election-first-part/
পরবর্তী স্তরে এগোবার আগে বিজেপির এই পুনঃ ভোটবৃদ্ধির সম্ভাব্য কারণগুলো তলিয়ে দেখা যাক। প্রথম এবং প্রধাণ কারণ নিঃসংশয়ে গণতান্ত্রিক, যেটা আগের পর্বেই বললাম। গণতন্ত্রে কখনো বিরোধী পরিসর শূন্য থাকতে পারে না। নেহেরু ও তার পারিষদবর্গরা বহুবিতর্কিত কাজ করলেও ভারতে গণতান্ত্রিক ভিত্তিটা এতোটাই সুদৃঢ় করে গেছেন যে তাঁর দোর্দণ্ডপ্রতাপিনী আত্মজাও তার সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছিল। বিগত আট বছরে বাংলাতেও স্বাভাবিক নিয়মেই তীব্র সরকার বিরোধী ভোট সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমাগতঃ লুম্পেনবাহিনী তোষণ, দমন, দুর্নীতি এবং অপব্যয় সেই বিরোধী জনচেতনাকে এতোটা সংহত করেছে যে স্বয়ং জননেত্রীর গলাতেও উদ্বেগ ধরা পড়ছে। অথচ রাজ্যের স্বাভাবিক বিরোধী দল বামেদের মধ্যে সেই বিরোধী ভোটকে সংহত করার কোন প্রয়াসই দেখা যায় নি। টেট-ডিএ-খাগড়াগড়-কালিয়াচক-সারদা-নারদা বহুবিধ আন্দোলনের ক্ষেত্র থাকলেও তাদের পলিত(কেশ)বুড়োরা হাত ধরবে না ধরবে না ভেবেভেবেই কাল কাটালো এবং দু চারটে সাংবাদিক সম্মেলন করে আর কাটলেট খেয়েই দায় মেটালো। বাংলার কংগ্রেসের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। নেহেরুজী বোধ হয় বুঝেছিলেন বাংলায় কংগ্রেসের শেষ আশ্রয় মালদা-মুর্শিদাবাদ (তাও এবার থাকবে না) তাই বুঝি কুমিল্লা-শ্রীহট্ট-রংপুর-রাঙ্গামাটী সব বলিদান দিয়ে মালদা-মুর্শিদাবাদ রেখেছিলেন। যাই হোক মোদ্দা কথা বাংলার বিরোধী ভোটের কাছে এই মুহুর্তে বিজেপি বিনা গতি নেই।
দ্বিতীয় কারণ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০১৪ তে উত্তর ও মধ্য ভারতে বিজেপি যা আসন পেয়েছে তার এবারে তার চেয়ে আসন কমবেই। দক্ষিণভারতে বিজেপির বেশী আশা নেই। কাজেই পূর্বভারত বিজেপির মুখ্য ভরসার স্থল। এবং পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় একটি রাজনৈতিক শক্তির কাছে পশ্চিমবঙ্গ একটি মুখ্য আশা-ভরসার স্থল এটা তাদের কাছে কতটা ভালো জানি না কিন্তু পঞ্চাশ বছর ধরে বিরোধী বেঞ্চে বসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কাদুনি গাওয়া বাংলার কাছে এ যে কতো বড় সৌভাগ্যের ইঙ্গিত তা কেবল ভাগ্যদেবীই জানেন। যাই হোক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই আগ্রহের হাত ধরেই মুকুল রায় এবং তদনুসারে ভারতী, খগেন, নিশীথ , অনুপম, সৌমিত্র বা অর্জুন এদের দলে আসা। এই দলত্যাগী ব্যক্তিরা নিঃসন্দেহে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
তৃতীয় কারণ অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের ২৭% কৌম প্রকৃতির ভোটকে মাথায় রেখে শাসক দলের প্রকট ভাবে একটি শ্রেণীকে নির্লজ্জ তোষণ। ২০১৩-১৬ এই পাঁচ বছরে তোষণ যে মাত্রায় পৌছেছিল যে ধর্ষণ-বিস্ফোরণের মতো কেসের অভিযুক্তরাও পার পেয়ে যাচ্ছিল। খাগড়াগড়-কামদুনি এইসময়েরই ঘটনা। এমনকি কালিয়াচক-ধূলাগড়-দেগঙ্গার মতো সঙ্ঘর্ষগুলোতেও প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নেই নি। ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেলেও ভোটের দায়ে ক্ষতিকরদের কোন শাস্তি হয় নি। তার চেয়েও নির্লজ্জ আচরণ মিডিয়া আর প্রতিষ্ঠিত বিরোধী দল বাম-কং এর যারা ভন্ড নিরপেক্ষতার মুখোশ পড়ে বা তাকে ঢাল করে সেইসকল দুষ্কৃতী গোষ্ঠীদেরই সমর্থন যুগিয়ে গেছে যারা এই সকল সঙ্কটের মূল। সংখ্যাগুরু ভোট কখনোই সুসংহত হবে না বা হতে দেবো না এই আত্মবিশ্বাসের জোরে শাসক-বিরোধী-মিডিয়া মিলে যে এ রাজ্যের ৭০% বাসিন্দাকে কার্যত দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে ফেলেছে তারই ক্রমবিবর্তিত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি।
মনে রাখতে হবে যে একই সঙ্গে চলছে অবাধ অনুপ্রবেশ। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মূলনিবাসীরা ইতিমধ্যেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত, গ্রাম্য অর্থনীতিরও রাশ অনেক ক্ষেত্রেই মূলনিবাসীদের হাত থেকে চলে গেছে বা নানা পন্থায় আতঙ্কিত করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেই রিপোর্ট বেরিয়েছে দেশের সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বৃদ্ধির রাজ্য এই পশ্চিমবঙ্গেই এবার সবচেয়ে বেশী ভোটার বেড়েছে!!! মুর্শিদাবাদ জেলের ভোটার বৃদ্ধির সংখ্যা ২০০১ সালের ক্রুড বার্থ রেটকেও ছাপিয়ে গেছে!!! ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি যে এই তথ্য পুলোয়ামা এটাকের চেয়ে শতগুণ বেশী বিপদের বার্তা। এবং এই তথ্য একটাই কথা বলছে যে যতই নাগরিক সুশীল সমাজ মোমবাতি মিছিল করে এক বৃন্তে দুটি কুসুমের পাঁচন গেলাক, গ্রাম্য পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই সঙ্গীন এবং আমরা একটি টাইম বোমার উপরে উঠে বসে আছি।
এবার যারা ভাবছেন যে এতো সেই গরু রচনা হয়ে গেলো, তাদের বলি যে এই প্রতিটা ফ্যাক্টই আজকের বাংলার ভোটের প্যারামিটার। নোটবন্দী নিয়ে রাগা যতই চেঁচান, ক্ষত শুকিয়ে গেছে। জিএসটি সেই অর্থে নিছক প্রোপাগাণ্ডা। গ্রাম্য এবং শহুরে মানুষের একটা বড়ো অংশ ইতিমধ্যেই জিএসটির সুফল দেখতে পাচ্ছে। রাফাল খায় না মাথায় দেয় কেউ জানে না। কিন্তু লোকে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি জানে, ক্লাবকে দেওয়া টাকা জানে, দুর্গা পুজোর ভাসান জানে, বকেয়া ডি এ জানে আর জানে টেটের আত্মহত্যা এবং বাম-কং এর জোট নিয়ে ঘোঁট। ঠিক এই জায়গাতে দাঁড়িয়ে এই ভোট এবং ভোট সমীক্ষা।
মূল সমীক্ষায় যাওয়ার আগে আর দুটি কথা বলে নেবো। এই সমীক্ষার মূল ভিত্তি সাম্প্রতিতম ভোট অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোট-২০১৮। শুনেই রে রে করে উঠবেন না, জানি সেবারে অধিকাংশ ব্লকে ভোট হয় নি। তবুও যেসকল ব্লকে হয়েছে তার থেকেই পার্শ্ববর্তী ব্লক গুলোর অনুমান করা সম্ভব, অন্ততঃ একটা মাত্রা অবধি। কিছু জটিল এল্গো ব্যবহার করে সেই অনুমানের সম্ভাব্য ত্রুটিও কমানো সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমঙ্গের রাজনৈতিক চেতনা এতোটাই ডায়নামিক আপাততঃ পঞ্চায়েত ভোট ছাড়া অন্য কোন ভোটে তার গতিপ্রকৃতির হদিশ পাওয়া মুশকিল। অবশ্য এতে করে শহুরে ভোটের চরিত্র বোঝা মুশকিল। সময়ে সময়ে সে বিষয়েও আলোচনা করবো।
দ্বিতীয় কথা এই সমীক্ষায় দুটো ধারায় করা হয়েছে। প্রথম ধারায় ধরে নেওয়া হয়েছে উন্নয়নের জোয়ার পঞ্চায়েত ভোটের মতই থাকবে। সেক্ষেত্রে হিসেবে যেটা ধরা পড়ছে তা হলো তৃনমূলের সম্ভাব্য সর্বাধিক প্রাপ্য ভোট আর বিজেপির সম্ভাব্য সর্বনিম্ন প্রাপ্য ভোট। দ্বিতীয় ধারায় জোয়ারে ভাঁটার টান ধরা আছে কিন্তু ২০১১ র মতো নিরপেক্ষ অবস্থান ধরা হয়নি। এখনো শাসক দলের সঙগঠন দুর্বার এবং তাকে এড়িয়ে যাওয়া পুরোপুরি সম্ভব নয়। এই দ্বিতীয় ধারার হিসাবকে ধরা যেতে পারে এক্সপেক্টেড হিসেব। এরপরেও কিছু ক্ষেত্র বিশেষে ভোট স্যুইং থাকতে পারে যা যথা সময়ে বলব।
উত্তরবঙ্গঃ [মোট আসন ৮ – কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদা উত্তর আর মালদা দক্ষিণ] – সারণী 3A পশ্য
সারণী ৩ এ দেখতে পাচ্ছি আপাতদৃষ্টিতে সমীক্ষা মাফিক এই সাতটি আসনের (দার্জিলিং বাদে) সবকটিতেই তৃণমূল জয়ী হবে এবং বিজেপি দ্বিতীয়। আমার প্রাথমিক বিশ্বাস তাইই হবে। তবে একটু তলিয়ে দেখা যাক। প্রথমে আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ারে তিনুদের সম্ভাব্য লীড ৫.৩%। গতবারে আলিপুরদুয়ারে বিজেপি হেরেছিল মাত্র ২৭০০০ ভোটে। বিজেপি এবারে প্রার্থী বদলেছে। জন বার্লা আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা, ওঁরাও বা মুন্ডা বা টিগগা এরকম কোন একটি বিশেষ গোষ্ঠীর থেকে প্রার্থী বাছাই না করে বিকাশ পরিষদের নেতাকে মনোনীত করা বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দেবে, অধিকন্তু সরাসরি একজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীকে প্রার্থী করে বিজেপি এই বার্তা দিতেও সক্ষম যে তারা প্রকৃত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। বিজেপির সমস্যা আর এস পির ভোট ক্রমে তৃণমূলে চলে যাওয়া। কিন্তু যদি আর এস পি কিছুটা হলেও তার ভোট পুনরুদ্ধার করতে পারে তাহলে আলিপুরদুয়ারে এইবারে বিজেপির জয় আসতে পারে।
সারণী -3A ও সারণী -3B
কোচবিহার বা বালুরঘাটের ক্ষেত্রে অবশ্য আদত রেজাল্টের হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা কম। উভয় ক্ষেত্রেই শাসকদলের লীড ১০% এর বেশী। কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিকের মতো নেতার আগমন বিজেপিকে নিশ্চিত বাড়তি সুবিধা দেবে কিন্তু জয় নয়। বিশেষতঃ সেখানে যখন প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে এবং প্রচারের দিনও হাতে যথেষ্ট কম। উভয়ক্ষেত্রেই অবশ্য বিজেপিরর লক্ষ্য থাকা উচিত অন্ততঃ ২ থেকে ৩ টি বিধান সভা ক্ষেত্রে লীড নেওয়া যা ২০২১ বিজেপিকে অক্সিজেন দেবে। লীড অনেক কম হলেও একই কথা বলা যায় জল্পাইগুড়ির ক্ষেত্রেও। এই আসন তৃণমূলের হাতেই থাকবে বলে ধরা যেতে পারে।
ইন্টারেস্টিং আসন হলো রায়গঞ্জ। বাম-কং এর সমঝোতা ভেঙ্গে যাওয়া, দীপা দাসমুন্সীর দাঁড়ানো, কেবল বাম থেকেই মুস্লিম প্রার্থী দাঁড় করানো এবং দাঁড়িভিতের ঘটনা এই আসনের বর্তমান রসায়নকে পালটিয়ে দিয়েছে। উত্তরদিনাজপুরে এই মুহুর্তে প্রায় ৫২% কৌম ভোট। অন্যদিকে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ এবং আগ্রাসন ইতিমধ্যেই বেশীরভাগ সাধারণ ভোটকে সংহত করে ফেলেছে, যেটা বিজেপির ৩০% ভোটকে সুনিশ্চিত করছে। হওতো সেটাই কারণ তৃণমূল এখানে হিন্দু প্রার্থী দিয়েছে। তৃণপ্রার্থী কানাইয়ালাল অগ্রবাল এখাঙ্কার একমাত্র হিন্দু প্রধাণ বিধানসভা ইসলাম্পুরের বিধায়ক। নিশ্চিত যে বিজেপির ভোট কিছুটা হলেও কমবে কিন্তু একই সঙ্গে তৃণর প্রাপ্য ভোটের একটা বড় অংশ সিপিএম এ যাবে। ফলতঃ দীপা কোন দল থেকে কত ভোট টানবেন তার উপরেই নির্ভর করছে রায়গঞ্জের ভাগ্য। বাম-কং জোট না ভাংলে এই আসনে এবারেও সেলিম জিততেন। বিজেপিতেও প্রার্থী নিয়ে কিছু হতাশা আছে; দাড়িভিট আন্দোলনের জননায়ক শ্রী সরকারকে প্রার্থী করার জন্য বিভিন্ন মহলে আগ্রহ ছিল। কিন্তু এতদ সত্ত্বেও বলব এই মুহুর্তে পাল্লা খুব অল্প হলেও বিজেপির দিকেই ঝুঁকে আছে। (শ্রী সরকার শ্রীরামপুরে প্রার্থীপদ পেয়েছেন যে বিষয়ে চতুর্থ পর্বে আলোচনা করব)
মালদা উত্তরে অন্যদিকে কংকে জোট ভাঙ্গার খেসারত দিতে হবে। মৌসম নূর কং ত্যাগ করলেও তৃণমূলের আর ভোট বাড়ার সম্ভাবনা কম বরং ধরা যেতে পারে সেই বর্ধিত ভোটের প্রতিচ্ছবি আমরা আগেই পঞ্চায়েতে দেখেছি। কিনতু সাবিত্রীমিত্র-কৃষ্ণেন্দুরা এই নবাগতাকে কিভাবে নেবেন? কৌম ভোটও পুরো তৃণের হাতে আসবে না-আড়াআড়ি ভাগ হবে কোতয়ালির দুই শাখার মধ্যেই। মালদায় সাধারণ ভোট কালিয়াচক পরবর্তী অধ্যায়ে অনেক সংহত। ফ্যাক্টর হবে খগেন মুর্মুর প্রার্থী হওয়া হবিবপুরে তার নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্কের জন্য বামেদের ভাগের ৪-৫% ভোট বিজেপিতে আসবেই। যেটা তৃণ আর বিজেপির মধ্যে ভোট ফারাক ১% নামিয়ে আনবে। বাম কং ভোট ভেস্তে যাওয়ায় যদি কিছু তৃণ ভোট কং এ ফেরে তাহলে এখানেও বিজেপি ইন্দ্রপতন ঘটাতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণমালদায় জোট ভাঙ্গায় অর্ধেক বাম ভোট কং এই পড়বে অনুমান লাগানো যায়। সেই অবস্থায় যদি তৃণ থেকে কং এ ৪% ভোটের পুনরুদ্ধার হয় (অসম্ভব নয়) তাহলে দক্ষিণ মালদা কং এর ধরে রাখার একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। পরিবর্তিত ভোট শেয়ার এবার সারণী 3B এ দেওয়া হলো।
এই সমীক্ষায় দার্জিলিঙ্গের শতকরা বলা নেই কারণ সেখানে পঞ্চায়েত ভোট হয় না। দার্জিলিং এ পাহাড়ীরা যাদের সাপোর্ট করে তারাই জয় পায়, কিন্তু সে রামও নেই সেই অয়োধ্যাও নেই। পাহাড়ী ভোট এখন আড়াআড়ি বিভক্ত এবং তৃণমূল সেখান থেকে অর্ধেক ভোট পাবে। বাকি অর্ধেক বিজেপি পেলেও তারা দীর্ঘদিন গোর্খাদের সমর্থন করায় সমতলের বিরোধী ভোট পাবে না। সুসংবাদ এটাই যে দার্জিলিঙ্গে দীর্ঘদিন পরে একজন রাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রার্থী জিতবেন।
কাজেই এই পর্ব শেষে বলা যায়, উত্তরবঙ্গে সম্ভাবনা এইরূপ
তৃণমূল = ৪-৮, বিজেপি = ০-৩, কংগ্রেস = ০-১, বাম – ০
(চলবে)http://ritambangla.com/state/a-review-on-seventeenth-lok-sabha-election-third-part/
ড: অভিষেক অধিকারী।
সহকারী অধ্যাপক,আই আই টি