এনআরএস-এ দুষ্কৃতী হামলা, ফের মাথা ফাটল এক জুনিয়র ডাক্তারের

ফের উত্তপ্ত এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাইরে থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতী হামলা করতে আসে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর। বাইরে থেকে ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে গিয়েছে এক জুনিয়র ডাক্তারের। তাঁর নাম সৌম্যদীপ মজুমদার। জানা গিয়েছে তিনি কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। এনআরএস-এর পড়ুয়াদের সঙ্ঘতি জানাতেই এখানে এসেছিলেন তিনি।

প্রথমে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও পরে রুখে দাঁড়ান আন্দোলরত জুনিয়র ডাক্তাররা। পাল্টা ধেয়ে যান হামলাকারীদের দিকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এনআরএস হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। শুধু এজেসি বোস রোডের মেন গেট নয়, হাসপাতালের সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, বাইরে পুলিশ ছিল। অথচ হামলা করে গেল দুষ্কৃতীরা। কোথায় নিরাপত্তা?

বিক্ষোভরত জুনিয়র চিকিৎসকরা গেটের কাছে জমায়েত করেছেন যাতে বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে। দরজা  বন্ধ। এর মধ্যেই হাসপাতালের ভিতর থেকে একটি শববাহী গাড়িকে এসকর্ট করে বাইরে বার করে দেন আন্দোলনকারীরা।

এনআরএস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই সময়েই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে হস্টেল থেকে বার করে দেওয়া হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। আর এতেই যেন ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে যায়। কার্যত ফুঁসে ওঠেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাশে দাঁড়ান সিনিয়ররাও। কামারহাটির সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে ২০ জন সিনিয়র চিকিৎসক। কার্যত ভেঙে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এর মধ্যেই সরকার বনাম চিকিৎসক সংঘাত চরমে। এখন দেখার কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এই আন্দোলন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.