বর্তমান পরিস্থিতিঃ
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতবর্ষে লোকসভা নির্বাচিনের দামামা বেজে গেছে। ঠিক তার প্রাক্বালে কাশ্মীরে জেহাদী-সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৪০ জনেরও বেশী বীর সৈনিকদের হারিয়ে ভারত মায়ের কোল রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত। সমগ্র দেশ আজ প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে। কিন্তু সকল দেশবাসীকে অবাক করে দিয়ে কিছু পাক-প্রেমী অমানুষ পাকিস্তানের হয়ে সাফাই গাইছে। এমনকি তারা একথাও বলছে যে, প্রমাণ না পেয়েই আগেই পাকিস্তানকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। নিজের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণ করতে তারা ঘরে বাইরের জেহাদী শত্রুদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থণ দিয়ে যাচ্ছে। তাই এই লোকসভা নির্বাচন কোনো সাধারণ নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনে লড়াই হবে রাষ্ট্রবাদী শক্তি ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির মধ্যে। লড়াই হবে রাষ্ট্র স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য,… ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য নয়।
আভ্যন্তিরীণ নিরাপত্তাঃ
গত পাঁচ বছরে দেশে জাতীয়তাবাদের প্রসার হয়েছে তেমনি দেশে লুকিয়ে থাকা ঘরশত্রু বিভীষণের ও জয়চন্দ-এর সংখ্যাও সবার নজরে এসেছে। এর সুত্রপাত দিল্লির জে.এন.ইউ. বিশ্ববিদ্যালয়ে। “ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে” স্লোগান কিংবা পার্লামেন্টে হামলাকারী আফজল গুরুর সমর্থনে স্লোগান দেওয়া ছাত্ররা আর যাই হোক ভারতের মঙ্গল চায় না। উগ্র বামপন্থী, নকশালবাদ, শহুরে বুদ্ধিজিবী সব এক সাথে মিশে গিয়ে বিদেশী শক্তির হাতে হাত মিলিয়ে ভারতের ক্ষতি করতে নেমে পড়েছে। এদের সাথে আবার সঙ্গত দিচ্ছে ভারতকে গত ৭০ বছর ধরে শাসন করা একটি রাজনৈতিক দল। যে ভারতে হিন্দুরা ভারতেরই রাজ্য কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হয়ে এখনও উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে বিদেশি রোহিঙ্গাদের বাসস্থান করে দেওয়া নিয়ে আমাদের নেতাদের কিসের এত দুশ্চিন্তা? কিসের এত জামাই আদর? …..এটা আমাদের ভাবা দরকার।
বিচ্ছন্নতাবাদীদের সাহায্যদানঃ
প্রকৃত ভারতীয়রা অনাদিকাল থেকে এই ভারতবর্ষে বসবাস করছে। সনাতনী ধর্মকে পাথেয় করে চলা এই ভারতীয়দের জন্যই ভারতের ঐক্য – অখণ্ডতা – সৌভাতৃত্ব বজায় আছে। কিন্তু স্বার্থম্বেষী রাজনৈতিক দলগুলি সনাতনী সমাজের এই ঐক্যবদ্ধ্য রূপকে সহ্য করতে পারছে না। সেই কারণেই কোথাও দলিত, কোথাও প্যাটেল, কোথাও লিঙ্গায়েত, কোথাও সংখ্যালঘু, কোথাও সঙ্গখ্যাগুরুর নাম করে সমাজকে বিভক্ত করতে চাইছে। রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদ, কামতাপুরি উন্নয়ন পর্ষদ, পাহাড়ের নানারকম উন্নয়ন পর্যদ গড়ে নেপালিদের বিভাজন করে মূল বৃহত্তর হিন্দু সমাজ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করার চক্রান্ত মাত্র। কিন্তু দেশের নেতৃত্ব এখন যোগ্য নেতৃত্বের হাতে রয়েছে। তাই সন্ত্রাসবাদ এখন শুধু মাত্র কাশ্মীরেই সীমাবদ্ধ। আর প্রতিটা সন্ত্রাসবাদী হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হয় সার্জিক্যাল ষ্ট্রাইকের মাধ্যমে। ভারতবর্ষ আজ এতটা অর্জন করেছে যে, শত্রু দেশ পাকিস্তান আমাদের পাইলট অভিনন্দনকে ৫০ ঘন্টাও আটকে রাখার সাহস পায় না।
হিন্দুদের অপমান আর মুসলিমদের নির্লজ্জ তোষণঃ
ভারতে হিন্দু দেবদেবী এবং হিন্দুদের অপমান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে হয়েছে আর হচ্ছেও। শবরীমালা মন্দীর তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে বর্তমান পশ্চিমবাংলা, যাকে অনেকেই এখন জেহাদীবাংলা বলে বিদ্রুপ করে। সরস্বতী পূজোতে বাধা, দূর্গা পূজাতে বাধা, উন্মুক্ত স্থানে গোহত্যা, পত্রপত্রিকায় দেবীদূর্গার, মাকালীর নগ্ন ছবি, হিন্দু মন্দির পরিচান সমিতির মাথায় মুসলিম প্রশাসক ….এইসব প্রমাণ করে হিন্দু সংস্কৃতি আজ কতটা আক্রান্ত। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুসলিম তোষণ। যে তোষণ শুরু হয়েছিল ইমামদের ভাতা দিয়ে—তা আজ চরম আকার নিয়েছে। সরকারী চাকরীতে ইচ্ছে করে মুসলিমদের সুযোগ করে দেবার ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে। রামনবমী বা জন্মাষ্টামী পালন করার কোনো অনুমতি পাওয়া যায় না। অথচ মহরম এর মিছিলের জন্য সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। একদিকে মাদ্রাসা শিক্ষায় হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে, আর অন্যদিকে সারদা শিশুমন্দির বিদ্যালয় গুলিকে বন্ধ করার চক্রান্ত চলছে।
ভোটাধিকার প্রয়োগঃ
মনে রাখবেন আপনার একটি ভোটের মুল্য অপরিসীম। দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ আপনার হাতে। তাই উপরোক্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখে ভোট দিন। নোটা (NOTA)-তে ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করবেন না বা নিজের ভোটের শক্তিকে নষ্ট করবেন না। যোগ্যতম ব্যাক্তিকে খুঁজে নিন। ক্ষুদ্র স্বার্থ নয়, ব্যাক্তিস্বার্থ নয়, রাষ্ট্র হিতের কথা ভাবুন। মনে রাখবেন দেশ সুরক্ষিত থাকলে আপনিও সুরক্ষিত থাকবেন। ভারতের স্বার্থে আপনার মুল্যবান ভোটাধিকার কে প্রয়গ করুন। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করুন – অবশ্যই ভোট দিয়ে।
অমিত কুমার