পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে শক্তি প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় পরিসর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। ডান-বাম, অতি ডান, অতি বাম সকলেই তাই বারবার ‘ব্রিগেডে চলো’ ডাক দেয়। এই ব্রিগেড রাজ্য রাজনীতির অনেক ইতিহাসের সাক্ষী।
১. স্বাধীনতার আগে এই মাঠে শুধু সেনার অনুষ্ঠান হত।
২. ব্রিগেডে প্রথম রাজনৈতিক সভা করেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। ১৯৪৯ সালের ১৪ জুলাই।
৩. ১৯৫৫ সালের ২৯ নভেম্বর সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন প্রধান নিকোলাই বুলগানিন ও রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নিকিতা ক্রুশ্চেভকে ব্রিগেড ময়দানে সংবর্ধনা দেন প্রধানমন্ত্রী নেহরু।
৪. চিনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইকে ১৯৫৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ব্রিগেডেই আপ্যায়ন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়।
৫. ১৯৬৪ সালে নেহরুর মৃত্যুর পরে তাঁর চিতাভস্ম এনে ব্রিগেডে রাখা হয়। সারা রাত ধরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনের ব্যবস্থা হয়।
৬. ১৯৬৭ সালে প্রফুল্ল ঘোষের মন্ত্রিসভা বাতিলের প্রতিবাদে ২২ নভেম্বর ব্রিগেডে সভা করে যুক্তফ্রন্ট।
৭. ১৯৬৯ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়ে ব্রিগেডে বিজয় উৎসব পালন করে বামফ্রন্ট।
৮. ১৯৭৭ সালে ব্রিগেডেই জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ।
৯. ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পরে ইন্দিরা-মুজিবের সমাবেশও ব্রিগেডে ইতিহাস তৈরি করে।
১০. ১৯৮৬ সালেরর ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেড ময়দানে এসেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল।
১১. ১৯৮৮ সালে এক ইতিহাস তৈরি হয় ব্রিগেডে। একই মঞ্চে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ, জ্যোতি বসু, অটলবিহারী বাজপেয়ী হাতে হাত ধরেন।
১২. এখনও পর্যন্ত ব্রিগেড ময়দানে সব থেকে বেশি সভা করেছে বামেরা। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই ‘বামফ্রন্টের মৃত্যু ঘণ্টা’ বাজানোর ডাক দেন মমতা।