প্রথম পর্বের ভোটের বাকি ২৭ দিন৷ তার আগেই রাজ্যে চলে এল আরও ৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ভোট ঘোষণার পরপরই এসেছিল ২৫ কোম্পানি বাহিনী৷ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের স্বার্থেই কমিশনের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷
কোন জেলায় কত বাহিনী থাকবে তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছে নির্বাচন কমিশন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছে ২ কোম্পানি বাহিনী৷ এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, উত্তর দিনাজপুরে ১ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
বীরভূম ঘুরে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের৷ বিরোধীদের নিশানায় রাজ্যের শাসক শিবির৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে লাল মাটির বীরভূমকেই ভোটের সময় ও তার আগে শান্ত রাখতে তৎপর কমিশন৷ সেই লক্ষ্যেই আজ বীরভূমের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া মহম্মদবাজারের রামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ পরে মহম্মদবাজারের বিভিন্ন জায়গায় যায় তারা৷
বিগত দিনের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ করেছে বিরোধীরা৷ এলাকা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধারনা না থাকায় রাজ্যের পুলিশের ওপরই তাদেরকে ভরসা করতে হয়৷ সেই সুযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নাকি ভুল পথে পরিচালিত করেছে রাজ্যের পুলিশ৷ আবার কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বেড়াতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷
সূত্রের খবর, অতীতের এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই সপ্তদশ লোকসভা ভোটের অনেক আগেই রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ যাতে তারা এলাকা সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়৷ সাধারণ ভোটারদের মনে যাতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে৷ তার জন্য এবার অনেক আগে থেকেই শুরু হবে রুটমার্চ৷
এখানেই শেষ নয়, সপ্তদশ লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর সরাসরি রাজ্যে সরকারের দায়িত্বে থাকবে না৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব তুলে দেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) র হাতে। তবে সিইও আরিজ আফতাব রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) র সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করবেন৷
এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আরও কড়া নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের পোলিং অফিসার থেকে শুরু করে জেলাশাসক সকলকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির সম্পূর্ণ ভিডিওগ্রাফি করে রাখতে হবে৷ সেই ভিডিওগ্রাফি পাঠাতে হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দফতরে৷ এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন দিন কোন এলাকায় রুটমার্চ করবে সেটাও তুলে দিতে হবে কমিশনের ওয়েবসাইটে।