দুবাইয়ে টানা অনুশীলন করার পর উজবেকিস্তানের এফসি নাসাফের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য চূড়ান্ত ২২ জনের দল বেছে নিলেন এটিকে মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। দুবাইয়ে দলের সঙ্গে অবশ্য এই দলে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই দলে ঢুকেছেন সদ্য ইউরো কাপে খেলা ফিনল্যান্ডের মিডফিল্ডার জনি কাউকো। এ ছাড়াও দুই উইঙ্গার প্রবীর দাস এবং মাইকেল সোসাইরাজকে চূড়ান্ত দলে রেখেছেন সবুজ-মেরুন কোচ।
তিন ফুটবলারই ভাল ছন্দে রয়েছেন। তবে কাউকো সম্ভবত প্রথম একাদশে থাকতে পারেন। সবুজ-মেরুন জার্সিতে কাউকোর অভিষেকের অপেক্ষায় সমর্থকেরা। ইউরোতে খেলা ফুটবলারের জাদু দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন সকলে। হাই প্রোফাইল ফুটবলারের সামনেও নিজেকে প্রমাণ করার বড় সুযোগ রয়েছে। কারণ উজবেকিস্তানের এই ক্লাবটি ধারেভারে, শক্তিতে এটিকে মোহনবাগানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। সেই দলের বিরুদ্ধে সাফল্য এনে দিয়ে সবুজ-মেরুনের প্রাণ ভ্রোমরা কাউকো হয়ে উঠতে পারবেন কিনা, সে কথা সময়ই বলবে!ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
হাবাস দুবাইয়ে দল নিয়ে অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন। তার পরেই চূড়ান্ত দল বেছে নিয়েছেন। প্রতিপক্ষের শক্তি দূর্বলতাগুলি দলের ফুটবলারদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজের দলের রক্ষণকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন। যাতে কোনও ভাবে দলকে গোল খেতে না হয়, সেই বিষয়ে বাড়তি সতর্ক হাবাস। জানা গিয়েছে, হাবাস নাকি প্রচুর পেনাল্টি মারাও প্র্যাকটিস করিয়েছেন। সম্ভবত শক্তিশালী এফসি নাসাফকে নির্দিষ্ট সময়ে আটকে দিয়ে টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে স্প্যানিশ কোচের। অবশ্য যদি মোহনবাগান গোল পেয়ে যায়, তা হলে আলাদা বিষয়। হাবাসের চূড়ান্ত দলে পাঁচ জন জুনিয়র ফুটবলারও রয়েছেন। যাতে তাঁরা অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিজেদের তৈরি করে নিতে পারেন, সেই লক্ষ্যে প্রতিভাবান জুনিয়দের দলে রেখেছেন হাবাস।
এটিকে মোহনবাগানের ২২ জনের দল:
গোলকিপার- অমরিন্দর সিং, অভিলাষ পাল, আরস্ আনোয়ার।
ডিফেন্ডার- প্রীতম কোটাল, আশুতোষ মেহতা, কার্ল ম্যাকহিউজ, শুভাশিস বসু, সুমিত রাঠি।
মিডফিল্ডার- জনি কাউকো, লেনি রডরিগেজ, লিস্টন কোলাসো, প্রবীর দাস, সুসাইরাজ, বিদ্যানন্দ সিং, এঞ্জন সিং, শেখ সাহিল, রবি বাহাদুর রানা, অভিষেক ধনঞ্জয়।
ফরোয়ার্ড- রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীর সিং, কিয়ান নাসিরি।