বিশ্বকাপের বাকি ন’দিন, ভারত, পাকিস্তানকে ভয় দেখাচ্ছেন কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার

বিশ্ব ক্রিকেটে হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রে আমেরিকার ক্রিকেট। যে দেশে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে, সেই দেশ বাংলাদেশকে পর পর দু’টি ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামার আগে যা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে আমেরিকাকে। তবে এশিয়ার দুই শক্তিশালী ক্রিকেটীয় দেশ ভারত এবং পাকিস্তান রয়েছে তাদের গ্রুপে। সেই দুই দেশকে সাবধানবানী শুনিয়ে রাখলেন আমেরিকার পেসার আলি খান।

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে ছিলেন আলি খান। কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। পর পর দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে তিনি বলেন, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আমরা ক্ষুধার্ত। সামনে যে আসবে খেয়ে নেব। আমরা এই সময় দলে কিছু বদল করতে পারি। ভারসাম্য রয়েছে দলে। সকলে জেতার জন্য ক্ষুধার্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমেরিকা কিছু অঘটন ঘটাবেই।”

প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে হারানোর পর বলা হয়েছিল এটা অঘটন। আলি বলেন, “বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে আমেরিকাকে বসানোর সময় এসেছে। বড় দলের বিরুদ্ধে জিতলে বলা হয় অঘটন। কিন্তু পর পর দু’বার সেই দলকে হারিয়ে সিরিজ় জেতা কখনও অঘটন হতে পারে না। আমাদের দলে প্রতিভা আছে, ক্ষমতা আছে। সুযোগ পেলে তা প্রকাশ পায়।”

আলির জন্ম পাকিস্তানে। ১৮ বছর বয়সে আমেরিকা চলে যান তিনি। ২০১৫ সালে ট্রায়ালে নজর কেড়েছিলেন আলি। তিনি ইয়র্কার করতে পারেন, বল সুইং করাতে পারেন ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে। কোর্টনি ওয়ালস তাঁর বোলিং দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। আমেরিকার ঘরোয়া ক্রিকেটের ১৫ জনের দলে সুযোগ পেয়ে যান আলি। আমেরিকার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয় ২০১৯ সালে। পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে খেলেছিলেন আলি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩.৩ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলি। তবে এক দিনের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ৭ উইকেট নিয়ে এর আগেও নজর কেড়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে কেকেআর দলে নেয় তাঁকে। কিন্তু চোট পেয়ে যান আলি। তাই আর আইপিএল খেলা হয়নি।

৩৩ বছরের এই পেসার বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেন। আমেরিকার হয়ে ১৫টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। নিয়েছেন ৩৩টি উইকেট। ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.