মণিপুরের ধসে দার্জিলিঙের নয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার একটি টুইটবার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মণিপুরে ধসের ঘটনায় দার্জিলিঙের নয় জওয়ানের (১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট) মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক। তাঁদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আন্তরিক সমবেদনা।’
মণিপুরে ধসের ঘটনা
মণিপুরের নোনিতে রেলের নির্মাণস্থলের কাছে ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১২ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্য। বাকিরা সাধারণ নাগরিক। তাছাড়া এখনও ৪৩ জনের খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রায় ৩০০ জন কাজ করছেন। শুক্রবার ভারতীয় সেনার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে একটি বলা হয়েছে, ‘এখনও টেরিটোরিয়াল আর্মির ১৩ জন সদস্য এবং পাঁচজন সাধারণ নাগরিককে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।’ সঙ্গে সেনার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নিরন্তরভাবে এখনও ১৫ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্য এবং ২৯ জন সাধারণ নাগরিকের খোঁজ চলছে।’
কবে ধস নেমেছে?
গত বুধবার মধ্যরাতে মণিপুরের রাজধানী থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পশ্চিমে মারাংচিংয়ে ধস নামে। রেলের নির্মাণ শিবিরের কাছে একটি পাহাড়ের বড় অংশ ভেঙে পড়ে। ভূমিধসের জেরে প্রাথমিকভাবে ইজেই নদী অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে নীচু এলাকা ভেসে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে দ্রুত আটটি মেশিন দিয়ে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করে শুক্রবার আবারও ইজেই নদীর গতিপথ ঠিক করা হয়েছে।