প্রয়াত জাতীয় লিগজয়ী ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার কার্লটন চ্যাপম্যান, ময়দানে শোকের ছায়া

লাল-হলুদ জার্সি গায়ে বহু রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন সমর্থকদেরজেসিটির হয়ে জিতেছেন ১৪টি ট্রফি। একটা সময় জাতীয় দলের জার্সিতে দাপিয়ে খেলেছেন। দীর্ঘদিন দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। সেই কার্লটন চ্যাপম্যান (Carlton Chapman) আর নেই। মাত্র ৪৯ বছর বয়সেই চলে গেলেন দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার। সোমবার ব্যাঙ্গালুরুতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যু সংবাদে শোকস্তব্ধ দেশের ফুটবল মহল

কার্লটন দু’দফায় ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) কাটিয়েছেন ৫টি মরশুম। আর এই ৫ মরশুমে বহু স্বপ্নের মুহূর্তে উপহার দিয়েছেন লাল-হলুদ জনতাকে। বিশেষ করে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলতে এসে প্রথম মরশুমেই এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে ইরাকের ক্লাব আল জাবরার বিরুদ্ধে তিনি যেভাবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে অক্ষয় হয়ে থাকবে। স্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্লাব ফুটবলে নিজের শেষ মরশুমে যেভাবে তিনি ইস্টবেঙ্গলকে জাতীয় লিগ এনে দিয়েছিলেন, সেটাও। ২০০১ সালে ইস্টবেঙ্গলকে ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (NFL) জেতানোর পরই অবসর নেন চ্যাপম্যান। তবে, তাঁর সাফল্য শুধু লাল-হলুদ জার্সিতে সীমাবদ্ধ নয়। ফুটবলজীবনের সেরা সময়টা তিনি কাটিয়েছেন জেসিটিতে। ১৯৯৫ সালে ইস্টবেঙ্গল থেকে চ্যাপম্যানকে সই করায় জেসিটি। জেসিটির সেই ঐতিহাসিক দলে তখন আইএম বিজয়ন, বাইচুং ভুটিয়ারাও খেলছেন। জেসিটির জার্সিতে মাত্র ৩টি মরশুমে তিনি জেতেন ছোটবড় ১৪টি ট্রফি। দেশের জার্সি গায়েও খেলেছেন প্রায় ১ দশক। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত। বেশ কিছুদিন অধিনায়কও ছিলেন

খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেওয়ার পর কোচিংয়ে মন দেন কার্লটন। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করানোর পাশাপাশি রয়্যাল রেঞ্জার্স, রয়্যাল ওয়াহিংডো হয়ে ভবানীপুর, স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, কোয়ার্টজ এফসি-র মতো বহু ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন চ্যাপম্যান। আসলে সারাজীবন ফুটবলই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। চ্যাপম্যানের প্রয়াণে অপুরণীয় ক্ষতি হল ভারতীয় ফুটবলের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.