চলতি আইপিএলের (IPL 2020) প্রথম ম্যাচে ধোনির চেন্নাইয়ের কাছে পরাস্ত হয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আবার পরের ম্যাচই গড়িয়েছে সুপার ওভারে। কে এল রাহুলের পাঞ্জাবকে পরাস্ত করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দিল্লিকে। সোমবারও বিরাট কোহলির আরসিবির থেকে বিশেষজ্ঞরা ধারে-ভারে এগিয়ে রেখেছিল হায়দরাবাদকেই। কারণ আমিরশাহীর স্পিন সহায়ক উইকেট। কোহলি-ফিঞ্চ-এবির মতো তারকাদের নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিং লাইন আপ সাজানো থাকলেও হায়দরাবাদ এগিয়েছিল বোলিংয়ে। অন্তত খাতায়-কলমে। কিন্তু এদিনও হিসেব মিলল না। জয় দিয়েই ১৩ তম মরশুম শুরু করল কোহলি অ্যান্ড কোং।
টি-টোয়েন্টি মানেই যেন রান তাড়া করার নেশা। এ ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হল না। টস জিতে কোহলিদের ব্যাট করতে পাঠান ওয়ার্নার। গোটা ক্রিকেট মহলকে চমকে দিয়ে ব্যাট হাতে শুরুটা করেন দেবদূত পাডলিকর। অভিষেক ম্যাচেই দর্শনীয় ক্রিকেট উপহার দিয়ে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান কর্ণাটকের তরুণ ব্যাটসম্যান। তাঁর টাইমিংয়ে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরাও। ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে যে দেবদূত লম্বা রেসের ঘোড়া, তা নির্দ্বিধায় বলে দিচ্ছেন অনেকেই। তবে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নেমে ব্যর্থ ক্যাপ্টেন কোহলি। যদিও ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স।
একেই হার, তার উপর দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট। এদিনটা নিশ্চয়ই মনে রাখতে চাইবেন না ওয়ার্নার। নিজের শটই উলটোদিকের স্টাম্পে লেগে রান আউট হয়ে যান তিনি। তখন তাঁর নামের পাশে মাত্র ৬ রান। সেখানেই যেন অপ্রত্যাশিত অ্যাডভান্ডেজ পেয়ে যায় আরসিবি। আর ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজটা করলেন চাহাল। বেয়ারস্টো ও মণীশ পাণ্ডের দুটো মূল্যবান উইকেট নিয়েই ছবিটা বদলে দেন। তিনটি উইকেট নেন তিনি। শিবম দুবে ও নবদীপ সাইনির ঝুলিতে দুটি করে উইকেট।
তবে টি-টোয়েন্টিতে এমন জঘন্য ফিল্ডিং করলে আগামিদিনে ভুগতে হতেই পারে কোহলিদের। ডেল স্টেইনরা যেভাবে ক্যাচ মিস করলেন, তাতে ম্যাচ মিস হয়ে যেতেই পারে।