IPL 2022 Playoffs Qualification equation: SRH-র রুদ্ধশ্বাস জয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে কোন দলের ‘সূর্যোদয়’ হল? কাদের অস্ত গেল?

এক দল ইতিমধ্যে এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছে। অপর দল খাতায়কলমে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে আছে। সেই দু’দলের লড়াইয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকল আইপিএল। শেষপর্যন্ত তিন রানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারপর প্লে-অফের অঙ্কটা কেমন দাঁড়াল, তা দেখে নিন –

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (অষ্টম): মঙ্গলবার জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল। নেট রানরেট -০.২৩০। সেই পরিস্থিতিতে প্লে-অফে উঠতে গেলে শেষ ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। সেটাই যথেষ্ট হবে না। দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হার প্রার্থনা করতে হবে।  ওই দুই দল হারলেও ১৪ পয়েন্টে থাকবে। সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সও ১৪ পয়েন্টে শেষ করতে পারে। তখন প্লে-অফের চতুর্থ স্থানের জন্য চারটি দলের লড়াই হবে। তাতে পিছিয়ে থাকবে সানরাইজার্স। কারণ দিল্লি ও কেকেআরের নেট রানরেট ঢের ভালো।জনপ্রিয় খবর

গুজরাট টাইটানস (প্রথম): ইতিমধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ারের টিকিট কেটে ফেলেছে (১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট)। অপেক্ষা শুধু প্রতিপক্ষের। সেই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের ম্যাচ নিয়ে ছিঁটেফোটা আগ্রহ থাকার কথা নয় গুজরাটের। কারণ মুম্বই ইতিমধ্যে ছিটকে গিয়েছে। সানরাইজার্সের প্রবল ভাগ্য ভালো থাকলেও চারের উপরে শেষ করতে পারবে না।

রাজস্থান রয়্যালস (দ্বিতীয়): সঞ্জু স্যামসনদেরও মঙ্গলবারের ম্যাচ নিয়ে ছিঁটেফোটা আগ্রহ নেই। ১৩ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট ১৬। কোনওভাবেই রাজস্থানকে ছুঁতে পারবে না সানরাইজার্স। মুম্বই তো ছিটকে গিয়েছে।

লখনউ সুপার জায়েন্টস (তৃতীয়): লখনউয়েরও কোনও মাথাব্যথা ছিল না। ১৩ ম্যাচে কে এল রাহুলদের পয়েন্ট ১৬। যে জায়গায় পৌঁছাতে পারবে না সানরাইজার্স।

দিল্লি ক্যাপিটালস (চতুর্থ): সানরাইজার্স হেরে গেলে একটা প্রতিপক্ষ কমত ঋষভ পন্তের। তবে কেন উইলিয়ামসনরা জিতে যাওয়ায় বড়সড় কোনও প্রভাব পড়বে না দিল্লির। কারণ আপাতত ১৩ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট ১৪। নেট রানরেট +০.২৫৫। আর সানরাইজার্সের সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট হতে পারে। 

দিল্লি যদি শেষ ম্যাচে হেরে যায় এবং সানরাইজার্স বাকি ম্যাচে জিতে গেলে দু’দলের পয়েন্ট সমান হবে। তখন নেট রানরেট বিবেচ্য হবে। যে দলের নেট রানরেট বেশি থাকবে, তারাই চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে যাবে (তবে সেক্ষেত্রে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারতে হবে)। কেকেআর জিতলে ১৪ পয়েন্ট হবে। তখন নেট রানরেটের বিষয় থাকবে। ব্যাঙ্গালোর জিতে গেলে দিল্লির (শেষ ম্যাচ হারবে ধরে) কোনও আশা থাকবে না।

তবে পুরোটাই দিল্লির হাতে আছে। দিল্লি যদি শেষ ম্যাচে জিতে যায়, তাহলে ব্যাঙ্গালোর হেরে গেলেই প্লে-অফে উঠে যায়। ব্যাঙ্গালোর জিতলেও দিল্লি প্লে-অফে যেতে পারবে। কারণ দিল্লির নেট রানরেট ভালো। ব্যাঙ্গালোর আপাতত মাইনাসে আছে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (পঞ্চম): আপাতত ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট আছে। ফলে শেষ ম্যাচে জিতলে ১৬ পয়েন্ট হবে। সেক্ষেত্রে সানরাইজার্সের জয়ে কোনও মাথাব্যথা থাকবে না ব্যাঙ্গালোরের। কিন্তু শেষ ম্যাচে হেরে গেলে তখন সানরাইজার্সের জয় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তবে সেটা তখনই হবে যদি দিল্লি হেরে যায়। নাহলে পন্তরা ১৬ পয়েন্টে শেষ করবেন। বিরাট কোহলিরা ১৪ পয়েন্টেই থেকে ছিটকে যাবেন।

কলকাতা নাইট রাইডার্স (ষষ্ঠ): আপাতত ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট আছে (নেট রানরেট +০.১৬০)। শেষ ম্যাচে লখনউকে হারালে ১৪ পয়েন্ট হবে। সেই পরিস্থিতিতে আজ সানরাইজার্স হেরে গেলে কেকেআরের একটি প্রতিপক্ষ কমত। তবে প্লে-অফের চতুর্থ স্থানের জন্য সানরাইজার্সের (শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স জিতবে এবং কোনও দল ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাবে ধরে) সঙ্গে লড়াই হলে কেকেআর এগিয়ে থাকবে। কারণ কেকেআরের নেট রানরেট অনেক বেশি। সানরাইজার্সের নেট রানরেট -০.২৩০।

পঞ্জাব কিংস (সপ্তম): তেমন লাভ বা ক্ষতি কোনওটাই হল না। আপাতত সানরাইজার্সের মতোই ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট আছে মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের। ফলে শেষ ম্যাচ জিতলে তবেই একটা হালকা সুযোগ থাকবে মায়াঙ্কদের কাছে। শেষ ম্যাচে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে নামবে পঞ্জাব। ফলে সানরাইজার্সের সঙ্গে নেট রানরেটের কোনও লড়াইয়ের বিষয়ই নেই। 

শেষ ম্যাচে পঞ্জাব জিতলে প্লে-অফের ওঠার কিছুটা সম্ভাবনা আছে। সেজন্য অবশ্য দিল্লি, ব্যাঙ্গালোরকে হারতেই হবে। কেকেআর হারলেও ভালো হয়। কারণ কেকেআরের নেট রানরেট বেশি। পঞ্জাবের -০.০৪৩। (যদিও শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগেই পঞ্জাব বুঝে যাবে যে প্লে-অফে উঠতে পারবে কিনা। কারণ সেটাই হবে এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ।)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.