মরসুমের শুরুতে চেলসি তাঁকে বিরাট ট্রান্সফার ফি দিয়ে সই করায়, যা ক্লাবের ইতিহাসে রেকর্ড। তখন অতি বড় চেলসি সমর্থকও ভাবতে পারেননি, তাঁর গোলেই ৯ বছরের খরা কাটবে। সাফল্যের লক্ষ্যে মরসুমের শুরুতে গোটা চেলসি দলেই আমূল পরিবর্তন করা হয়েছিল। হাভাৎসের পাশাপাশি আনা হয় টিমো ওয়ের্নারকে। তবু সাফল্য পাচ্ছিলেন না ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তাঁকে সরিয়ে থোমাস টুহলকে কোচ করে আনতেই বদলে গেল সবকিছু। যে কাই হাভাৎস গোটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একটাও গোল করেননি, তিনি রাতারাতি হয়ে গেলেন নায়ক।
মেসন মাউন্টের পাস থেকে ৪২ মিনিটে তিনি এগিয়ে দেন চেলসিকে। ওই একটি গোলই দু’দলের পার্থক্য গড়ে দিল। ম্যাচের পর সাক্ষাৎকার দিতে এসে রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়ে গেলে জার্মান ফুটবলার। বললেন, “জানি না কী বলব। অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করেছি। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই মুহূর্তটা দেখব বলে অপেক্ষা করেছি।” সাংবাদিক যখন মনে করিয়ে দেন যে তিনি চেলসির সব থেকে দামী ফুটবলার, হাভাৎসের উত্তর, “আমার তাতে কোনও যায় আসে না। আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছি। সেটাই সবকিছু।”
পাশে দাঁড়িয়েছিলেন চেলসি অধিনায়ক সেজার অ্যাজপিলিকুয়েতা। বললেন, “ও এই সম্মানের যোগ্য। ওর মানসিকতা অসাধারণ। ভবিষ্যতের নায়ক হতে চলেছে ও। এখনই অবশ্য আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়ে নায়ক হয়ে গিয়েছে।”