‘মোদিজী চা ওয়ালা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর দিদিমনি মুখ্যমন্ত্রী থেকে চাওয়ালি হবেন’। দীঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগে গিয়ে দোকানে চা করা প্রসঙ্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার মালিয়াড়ায় ঠিক এই ভাষাতেই তাঁকে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
এদিন তিনি শাসক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনাদের জন্য নবান্নে একটা স্টোভ আর রান্নাঘর পাঠিয়ে দেবো। ওখানে বসে চা তৈরি করে আপনারা বিলিবন্টন করুন।
সায়ন্তন বসু এদিন তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলকে তুলোধনা করেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি.চিদাম্বরকে সিবিআই গ্রেফতারের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ওরা যদি পাঁচিল টপকাতে পারে, আপনার টালি খুলে ঢুকতেও সময় লাগবেনা। রাজ্যের নদী গুলি থেকে কতো বালি, মাটি আর কয়লা চুরি হয়েছে তার হিসাব বিজেপি চাইবে দাবী করেও তিনি বলেন, ‘আমরা হিংসা চাইনা’।
তৃণমূলের ‘পরামর্শদাতা’ প্রশান্ত কিশোরকেও একহাথ নেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, সে নাকি তৃণমূলকে জেতাবে! তৃণমূল তো কবরে ঢুকেই গেছে। সে আরো বেশী করে কবরে লেপ্টে দেবে বলে তিনি দাবী করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। ওখানে আমি, আপনি যে কেউ গিয়ে জমি কিনতে পারি, থাকতে পারি। এই ঘটনার পর আজ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর ‘আত্মা শান্তি পেয়েছে’ বলেও এদিন তিনি দাবি করেন।
এদিনের জনসভায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজু ব্যানার্জ্জী, রিমঝিম মিত্র, সুজাতা খাঁ প্রমুখ।