করোনা সংক্রমণের (Corona Pandemic) জেরে এমনিতেই ইসরোর (ISRO) সব ধরনের মহাকাশ অভিযানের সময় পিছিয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর করোনা আবহে গত নভেম্বরেই প্রথম মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আর এবার মারণ এই ভাইরাসের প্রকোপে আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে ভারতের ‘গগনযান’ (Gaganyaan) মিশন। অর্থাৎ ভারতীয় নভোশ্চরদের মহাকাশে পাড়ি দিতে আরও একবছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। সংবাদসংস্থা PTI’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইসরো প্রধান কে শিবন।
২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দেশের মহাকাশ গবেষণায় ‘গগনযান’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বেঁধে দেন লক্ষ্য। মহাকাশে ৩ ভারতীয় নভোশ্চরকে অন্তত ৭ দিন কাটিয়ে আসতে হবে। তার প্রস্তুতির জন্য কেন্দ্রের তরফে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তারপর থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিতও করে ইসরো। রাশিয়ায় নভোশ্চরদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা দেশেও ফিরে আসেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘গগনায়ন’ মিশন হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। তবে তার আগে আরও দু’টি মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কথা ছিল ইসরোর। কিন্তু করোনা আবহে সেই সমস্ত কিছুই পিছিয়ে গিয়েছে। কে শিবন জানান, গগনযান মিশনের আগেই নভোশ্চর ছাড়াই দু’টি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করবে ইসরো।
আগেই জানানো হয়েছিল, এই দু’টির একটি উৎক্ষেপণ করা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে এবং আগামী বছরের জুলাইয়ে। তারপরই ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় নভোশ্চররা পাড়ি দেবেন মহাকাশে। কিন্তু এদিন সাক্ষাৎকারে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কে শিবন সাফ জানান, ‘‘করোনা আবহে আপাতত সমস্ত কিছুই পিছিয়ে গিয়েছে। আমরা আগামী বছর শেষে কিংবা তার পরের বছরের শুরুতে উৎক্ষেপণগুলো করব।’’ অর্থাৎ তারপরই হবে ‘গগনযান’ মিশনটি।
কিন্তু কেন এত দেরি? সেই প্রশ্নের উত্তরে ইসরো প্রধান বলেন, ‘‘মহাকাশে কোনও অভিযানই বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। স্পেস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রত্যেককেই সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। উৎক্ষেপণ সম্বন্ধীয় কোনও কাজই দূর থেকে বা বাড়ি থেকে বসে সম্ভব নয়। সবাইকে একত্রিত করতে হবে।’’