প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল একশন কমিটি ছ’মাস ধরে সার্ভে করেছিল সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে। দীর্ঘ ছয় মাস ধরেই সার্ভে করা হয়েছে, ফল তৃণমূলের পক্ষে নয়। ২০২১ এর ভোটে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার প্রবল সরকারবিরোধী হাওয়ার সম্মুখীন হতে চলেছে। তৃণমূলের অধিকাংশ বিধায়ক সমস্যায় পড়বেন ভোটে। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ তো পাবেই না, এমনকি বিধায়ক এর সংখ্যা দুই সংখ্যাতে নেমে যেতে পারে।
তিন পর্যায় করা এই সমীক্ষায় জানা গেছে মার্চের শুরুতে তৃণমূল যেখানে ১১০ টি সিট জেতার ভালো সম্ভাবনা ছিল, জুনের সমীক্ষাতে সেই ভালো সম্ভাবনার সিট নেমে এসেছে ৭৮ এ।
আইপ্যাডকে সমীক্ষা অনুযায়ী ১০০ টি সিট তৃণমূলের পক্ষে জেতা দুঃসাধ্য, আর বাকি ১১৬ টি সিটে জোর লড়াই হবে যাতে তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা ৫০%।
পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৪৮ টি বিধায়কের সমর্থন জরুরী।
যদিও তৃণমূল ওয়াই প্যাকেট তরফে বলা হয়েছে এরকম কোন সমীক্ষা করা হয়নি। তারা বরং দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক দের এলাকায় জনপ্রিয়তা দৃষ্টান্তমূলক। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তৃণমূল নেতৃত্ব কাজ করছেন।
সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপোষণ তার ওপরে কোভিদ পরিস্থিতি ও আম্ফান পরবর্তী তৃণমূলের লুটপাট তৃণমূলের জনসমর্থন বালির বাঁধের মতো বসিয়ে দিয়েছে।
দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি সিটে জয় যুক্ত হওয়ার পর বিজেপির পক্ষে জনসমর্থন দ্রুত বাড়ছে। দিলীপ ঘোষ একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জিকে, যে ২০২১ এ বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সমর্থন পেতে চলেছে, মমতা ব্যানার্জি পারলে আটকে দেখাক।