নতুন শিক্ষানীতি সরকারের নয়, দেশের : প্রধানমন্ত্রী

 দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষাগুলোকে পূরণ করার প্রতীক হচ্ছে নতুন শিক্ষানীতি।নতুন শিক্ষানীতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কম করা হয়েছে। এই শিক্ষানীতি সরকারের নয়, দেশের বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সোমবার নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যপালদের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং-র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা, বিদেশ নীতির মতই শিক্ষাও দেশের নীতি।বিগত তিন দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশ নিজের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সার্থক করে তোলার জন্য এই শিক্ষা নীতি গ্রহণ করেছে। দেশের সর্বত্রই শিক্ষানীতিতে স্বাগত জানানো হয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য এবং স্থানীয় পর্ষদ শিক্ষাব্যবস্থার দায়িত্বে থাকে। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের প্রভাব এবং হস্তক্ষেপ ন্যূনতম হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক, অভিভাবক এবং সর্বোপরি পড়ুয়ারা এই নীতির সাথে একাত্ম বোধ করেছে।ফলে এই নীতির প্রাসঙ্গিকতা এবং ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।যেভাবে নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে ঠিক একইভাবে এই শিক্ষা নীতিকে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে আলাপ-আলোচনা দেশজুড়ে হয়ে চলেছে।এখনও যদি এই শিক্ষানীতি নিয়ে কোন প্রকারের জিজ্ঞাসাবাদ থাকে তবে অবিলম্বে ভার্চুয়াল সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের উচিত সেগুলির জবাব দেওয়া। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এও পরামর্শ দিয়েছেন যে, নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে অযথা বিশ্লেষণ না করে পাঠক্রমের ওপর বেশি মনোনিবেশ করে শেখার ইচ্ছেটাকে আরও বিকশিত করা উচিত। প্রাচীন বিশ্বে ভারত শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। একবিংশ শতাব্দীতেও জ্ঞানের অর্থব্যবস্থা তৈরি করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। নতুন শিক্ষানীতি ভারতের মাটিতে আন্তর্জাতিকমানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার পরিসরকে আরও সুগম করেছে। সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা সহজেই এতে যোগ দিতে পারে সেই দিকটিও দেখা হয়েছে।ভাষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাষা আমাদের সংস্কৃতির প্রধান অঙ্গ। একে কোনভাবেই কোন প্রদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।

1 Comment

  1. এই শিক্ষানীতি বর্তমানে আমাদের দেশে প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.