নজিরবিহীন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে এবার কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে কাজ করাতে চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য পুলিশের এই তিন পদস্থ কর্তাকে এবার তলব অমিত শাহের মন্ত্রকের।
রাজ্য পুলিশের এই তিন আধিকারিক হলেন, ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে, দক্ষিণবঙ্গের এডিজি রাজীব মিশ্র ও ডিআইজি, প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ প্রবীণ ত্রিপাঠী। এই তিনজনেই বিজেপির সর্বভারতীয় সবাপতি জেপি নাড্ডাপ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে। ডায়মন্ড হারবারে জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি–কে তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১৪ ডিসেম্বর বৈঠকে হাজির থাকার জন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজিপি বীরেন্দ্রকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তরফে রিপোর্ট পাওয়ার পরই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।
এদিকে, কেন্দ্রের ডাকে আপাতত দিল্লি যাচ্ছেন না বলে পাল্টা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লাকে লেখা এক চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন। চিঠতে তিনি জানান, ওই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার দুই থানায় তিনটি পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, ‘গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং পাইলট কার দেওয়া হয়েছিল। কনভয় এবং সভাস্থলের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। ছিলেন ৪ এসএসপি, ৮ ডিএসপি এবং ১৪জন ইন্সপেক্টর। ছিলেন ৭০ জন এসআই ও এএসআই ৪০ জন RAF। ২৫৯ জন কনস্টেবল, ৩৫০ জনের সাহায্যকারী বাহিনী। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার বাইরেও এই ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য।’
যদিও রাজ্যের তৎপরতায় খুশি নয় কেন্দ্র। বরং কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করার জেরে এবার আরও কঠিন অবস্থান মোদী-শাহদের। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাংলার তিন আইপিএস আধিকারিককে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে কাজ করাতে চেয়ে তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।