কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল হরিয়ানা, পঞ্জাব, দিল্লি
সীমান্তবর্তী এলাকা, উত্তরপ্রদেশের একাংশ। রাজধানী দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিক্ষোভ
সমাবেশ করার দাবিতে ক্রমাগত দিল্লির সীমান্তে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে কৃষকরা।
এরই মধ্যে নতুন কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবাসরীয়
সকালে মন কি বাতের ৭১ তম পর্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রে
সংস্কারের ফলে কৃষকদের জন্য সুযোগের নতুন দরজা খুলে গিয়েছে। এতে করে বেশি অধিকার পেয়েছে
কৃষকরা। বহু দশক ধরে কৃষকদের যে প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিয়ে আসছিল তা অবশেষে
পূরণ হয়েছে। গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করে সংসদ নতুন কৃষি আইন পাশ করিয়েছে। কৃষকদের
শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিয়েছে এই সংস্কার। তাদেরকে নতুন সুযোগ এবং অধিকার দিয়েছে এই
আইন।
নতুন আইনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন,
নতুন কৃষি আইন কার্যকর হওয়ার ফলে বিক্রি করার পর ফসলের দাম তিন দিনের মধ্যে পাবে কৃষকরা।
ওই সময়ের মধ্যে দাম না পেলে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে
স্থানীয় এসডিএম এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। উদাহরণ টেনে গোটা বিষয়টিকে ব্যাখ্যা
করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের ধুলের কৃষক জিতেন্দ্র ভোইজি বিক্রি
করার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফসলের দাম না পেয়ে এসডিএমের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ
দায়ের করার কয়েকদিনের মধ্যেই বকেয়া টাকা পেয়ে যান জিতেন্দ্র। দেশের যে সকল তরুণ-তরুণীরা
কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছে তাদের কৃষি প্রযুক্তি এবং নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে
কৃষকদের সচেতন করার জন্য স্থানীয় গ্রামে যাওয়ার
আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তরুণ প্রজন্মের অংশীদারির ফলে গোটা দেশে এক বড়
ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মন কি বাতে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখখ করা যেতে
পারে দিল্লি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। পরিস্থিতি
মোকাবিলা করার জন্য ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত
শাহ। তিনি কৃষক নেতাদের ৩ ডিসেম্বর বৈঠকে বসার আহ্বান করেছেন।