যোগীর রাজ্যে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন। উত্তর প্রদেশের আলীগড় প্রশাসন রাস্তায় নামাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। তবে শুধু নামাজই না, রাস্তা থেকে সমস্ত রকম ধর্মীয় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করল আলীগড় প্রশাসন। রাস্তায় মুসলিমরা বসে নামাজ পড়ে, আর সেই কারণেই বিগত কয়েকদিন ধরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলো মঙ্গলবার ও শনিবার করে পালা করে রাস্তায় হনুমান চালিশ পাঠ এবং গীতা পাঠ এবং আরতিও করেন। এবার আলীগড় প্রশাসন রস্তায় নামাজ সমেত সমস্ত রকমের ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল।
আলিগড়ের জেলাশাসক সিবি সিং জানান, নামাজ এবং বাকি সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোর ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। শুধু মুসলিম দের উৎসব ঈদের সময় এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়া হবে। আলিগড়ের জেলাশাসক সিবি সিং জানান, ঈদের সময় ছাড় দেওয়া হয়েছে কারণ, ওই সময় প্রচুর পরিমাণে মুসলিম ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষ রাস্তায় জড় হন। ঈদ ছাড়া আর কোনও ধর্মীয় কার্যকলাপে রাস্তা ব্যাবহার করা যাবেনা।
আলিগড়ের জেলাশাসক সিবি সিং জানান, শুক্রবারের নামাজও এবার রাস্তায় পড়া যাবেনা। উনি বলেন, সবার নিজের নিজের ধর্মপালনের স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু সেক্ষেত্রে রাস্তা জ্যাম করা যাবেনা। রাস্তার উপর ধর্মীয় কার্যকলাপ হলে তাতে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন জেলাশাসক।
জেলাশাসক সিবি সিং জানান, রাস্তায় নামাজ পড়ার প্রতিবাদে বজরং দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন গুলো চলতি মাসে রাস্তায় বসে আরতি, গীতা পাঠ ও হনুমান চালিশা পাঠ করে। এরফলে এলাকাবাসী এবং যানবাহন চলাচলের নানারকম অসুবিধে হয়। গত শনিবার মহা আরতি ও হনুমান চালিশা পাঠে অংশ নেন আলিগড়ের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা শকুন্তলা ভারতী।