তৃণমূলের নতুন অস্বস্তির কারণ কি শতাব্দী রায়? এ দিন বিকেলে অভিনেত্রী সাংসদের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে৷ ফেসবুক পোস্টে বীরভূমের সাংসদ তাঁর সাংসদ এলাকার মানুষের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়।’ শাসক দলের রক্তচাপ বাড়িয়ে তিনি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি দুপুর দুটোয় কোনও সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি নিতে পারেন৷
শতাব্দী রায় ফ্যান্স ক্লাবের ফেসবুক পেজে সাংসদের নামেই এই পোস্ট করা হয়েছে৷ সেখানে বীরভূমের মানুষের উদ্দেশে শতাব্দী লিখেছেন, ‘এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। আমি তাঁদের বলছি যে আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়।’
আক্ষেপের সুরে সাংসদ আরও দাবি করেছেন, গত দশ বছরে নিজের বাড়ির থেকেও নিজের সাংসদ এলাকার মানুষের সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছেন তিনি৷ এর পরই শতাব্দী যা লিখেছেন, তাতে বীরভূমের সাংসদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য৷ শতাব্দী লিখেছেন, ‘নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ২০০৯ সাল থেকে আপনারা আমাকে সমর্থন করে লোকসভায় পাঠিয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাদের ভালোবাসা পাব। ‘
শতাব্দী মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাংসদ হওয়ার অনেক আগে থেকে বাংলার মানুষ তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবে চেনে৷ সবশেষে সাংসদ লিখেছেন, কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আগামী ১৬ জানুয়ারি বেলা দুটোয় তিনি জানাবেন৷ যদিও এ বিষয়ে এখনও শতাব্দী রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হয় না বলে নাম না করেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত নিজের ক্ষোভ স্পষ্ট করেছেন শতাব্দী৷ যদিও ডিসেম্বর মাসে বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই হাঁটতে দেখা গিয়েছিল বীরভূমের সাংসদকে৷