করোনা আবহে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবশনে বাতিল হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। তা নিয়ে হইচই বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার সেই একইভাবে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন থেকে বাদ পড়ল প্রশ্নোত্তরপর্ব (Question Hour), জিরো আওয়ার (Zero Hour) বা উল্লেখপর্ব (Mention Hour)। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধীরা। সরকার বিরোধীদের কন্ঠরোধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস ও বামেদের।
দু’দিন নয়, ন্যূনতম তিন সপ্তাহের বিধানসভার (West Bengal Assembly) অধিবেশন দাবি করে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল বাম ও কংগ্রেস (Congress) পরিষদীয় দল। নইলে বর্তমান সময়ে মানুষের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রশ্নোত্তরপর্ব, জিরো আওয়ার বা উল্লেখপর্বকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান হয়েছে দুই দলের তরফে। করোনা আবহের মধ্যেই আগামী ৯ ও ১০ তারিখ বসছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। ১৪ তারিখ থেকে শুরু হবে সংসদ। বৃহস্পতিবারই সর্বদলীয় বৈঠক করে অধিবেশন চলাকালীন সংক্রমণ রুখতে বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এতদিন বাদে যখন অধিবেশন হচ্ছে তখন কেন মাত্র দু’দিন তা হবে। অধিবেশনের দিন আরও বাড়ানোর দাবি করে বিরোধীরা। এরসঙ্গে শুক্রবারই বিধানসভার তরফে জানান হয়, এবারের অধিবেশন যেহেতু সংক্ষিপ্ত তাই প্রশ্নোত্তরপর্ব, জিরো আওয়ার বা উল্লেখপর্ব রাখা হচ্ছে না। এটা জানার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধিরা।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakrabarty) অভিযোগ, ছমাস পর অধিবেশন বসছে। এই সময়কালে করোনা, আমফান বা বেকারত্বের মতো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সামনে এসেছে। মানুষের এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। অথচ সরকার সেখান থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে চাইছে। মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নয়। এরপরই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার সিদ্ধান্ত কংগ্রেস ও বাম পরিষদীয় দল। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, সংসদ অধিবেশনেও গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বগুলোকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিরোধীদের চাপে অনেকটাই নরম হয় সরকারপক্ষ। বিরোধীদের দাবি মেনেও ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়। তাঁদের দাবি, করোনা পরিস্থিতি, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা, আমফান দুর্নীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা জরুরি। তাই গুরুত্বপূর্ণ পর্বগুলো অধিবেশনে রাখা হোক বলে দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস ও বাম পরিষদীয় দল।