তাঁর নাম ঘোষণার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে শোনা গেল ‘জয় শ্রীরাম’ হর্ষধ্বনি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে গলা মিলিয়ে তিনি বলতে শুরু করলেন ‘ম্যায়, নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী…..।’ এর পর একে একে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৪১ জন প্রতিমন্ত্রী (পাঁচ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত-সহ)।
যা দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিজেপি একক ভাবে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনে না জেতার কারণেই তৃতীয় এনডিএ মন্ত্রিসভার কলেবর হল ৭২। পাঁচ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ছ’জন প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে এনডিএ-র সহযোগী দলগুলিকে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির কেউ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেননি রবিবার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে রবিবার শপথ নেওয়া ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে বিজেপির ২৫ জন। এঁদের মধ্যে গুজরাত থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভা সাংসদ এস জয়শঙ্কর, সাকিন তামিলনাড়ুর নির্মলা সীতারামন, হিমাচল প্রদেশের নেতা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা রয়েছেন। রয়েছেন রাজস্থানের অশ্বিনী বৈষ্ণো, পঞ্জাবের হরদীপ সিংহ পুরী। লোকসভা সাংসদদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের রাজনাথ সিংহ, গুজরাতের অমিত শাহ, মনসুখ মাণ্ডবীয়, সিআর পাটিল, মহারাষ্ট্রের নিতিন গডকড়ী, পীযূষ গয়াল, অসমের সর্বানন্দ সোনোয়াল, কর্নাটকের প্রহ্লাদ জোশী, হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর, ওড়িশায় ধর্মেন্দ্র প্রধান, জুয়েল ওরাওঁ, মধ্যপ্রদেশের বীরেন্দ্র কুমার, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শিবরাজ সিংহ চৌহান, রাজস্থানের ভূপেন্দ্র যাদব, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, বিহারের গিরিরাজ সিংহ, ঝাড়খণ্ডের অন্নপূর্ণা দেবী, তেলঙ্গানার জি কিষাণ রেড্ডি।
সহযোগী দলের পাঁচ পূর্ণমন্ত্রীর তালিকায় তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র কিঞ্জারাপু রামমোহন নায়ডু, জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর রাজীবরঞ্জন (লল্লন) সিংহ, জনতা দল সেকুলার (জেডিএস)-এর এইচডি কুমারস্বামী, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস (এলজেপি)-এর চিরাগ পাসোয়ান, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা (হাম)-র জিতনরাম মাঝিঁ রয়েছেন।
সহযোগী দলের ছ’জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে শিবসেনার প্রতাপরাও যাদব, রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-এর জয়ন্ত চৌধুরী, রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া অঠওয়ালে (আরপিআই-এ)-র রামদাস অঠওয়ালে, জেডিইউর রামনাথ ঠাকুর, আপনা দল (সোনেলাল)-এর অনুপ্রিয়া পটেল, টিডিপির চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি।
বিজেপি থেকে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ৩৫ জন। পশ্চিমবঙ্গের শান্তনু ঠাকুর, সুকান্ত মজুমদার ছাড়া তালিকায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের জিতেন্দ্র সিংহ, রাজস্থানের অর্জুন রাম মেঘওয়াল, ভগীরথ চৌধরি, মহারাষ্ট্রের মুরলীধর মোহল, উত্তরপ্রদেশের জিতিন প্রসাদ, পঙ্কজ চৌধরি, এসপি সিংহ বঘেল, কীর্তিবর্ধন সিংহ, বিএল বর্মা, কমলেশ পাসোয়ান, গোয়ার শ্রীপদ নায়েক, দিল্লির হর্ষ মলহোত্র, অন্ধ্রপ্রদেশের ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস বর্মা, ছত্তীসগঢ়ের তোখন শাহু, হরিয়ানার কৃষ্ণপাল গুজ্জর, রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ, অসমের পবিত্র মার্গেরিটা, বিহারের নিত্যানন্দ রাই, সতীশচন্দ্র দুবে।
বিজেপির প্রতিমন্ত্রীদের তালিকায় কর্নাটকের ভি সোমান্না, শোভা কারান্ডলাজে, কেরলের সুরেশ গোপী, তামিলনাড়ুর এল মুরুগান, উত্তরাখণ্ডের অজয় টামটা, মহারাষ্ট্রের রক্ষা খড়সে, তেলঙ্গানার বান্দি সঞ্জয় কুমার, ঝাড়খণ্ডের সঞ্জয় শেঠ, মধ্যপ্রদেশের দুর্গাদাস উইকে ও সাবিত্রী ঠাকুর, গুজরাতের নিমুবেন বাহ্মনিয়া। পঞ্জাবের রভনীত সিংহ বিট্টু এবং কেরলের জর্জ কুরিয়েন সংসদের কোনও কক্ষের সদস্য না হয়েও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন।