প্রাথমিকে টেট দুর্নীতি নিয়ে কম অভিযোগ ওঠেনি রাজ্যে। প্যানেল প্রকাশ, তা বাতিল হওয়া, আদালতে দিনের পর দিন মামলা চলার পর অবশেষে ছাড়পত্র মেলে। গত ২৩ ডিসেম্বর ১৬ হাজার ৫০০ শূন্য পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সম্প্রতি জেলায় জেলায় সেই নিয়োগও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তাতেও দুর্নীতি হয়েছে বলে শনিবার অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কোলাঘাটে পরিবর্তন যাত্রায় যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাতের অন্ধকারে টেটে নিয়োগ হয়েছে। সব কাটমানির বিনিময়ে তৃণমূলের লোকজন চাকরি পেয়েছে।”
মূলত টেট উত্তীর্ণ এবং যাদের প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁরাই এর জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে সাতদিন ধরে এই শূন্যপদ পূরণের জন্য ইন্টারভিউ চলে। ভোটের ঠিক আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিপুলসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা প্রকাশ করে।
২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল। একাধিক আইনি জটিলতায় সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে ১৬ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ দ্রুত করা হবে। শুধু তাই নয় টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট নেওয়া হবে বলে নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। গত ৩১ জানুয়ারি টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টও নেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, টেটের চাকরি বিক্রি হয়েছিল রাজ্যে। স্থানীয় স্তরে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তারপর তা নিয়ে মামলা হওয়ায় প্যানেল বাতিল করে দেয় আদালত। শুধু তো তাই নয়, শাসক দলের নেতাদের আত্মীয়স্বজন, এমনিক গাড়ির চালকের ছেলের পর্যন্ত টেটে চাকরি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
শেষমেশ সাত বছর পর একুশের ভোটের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এদিন শুভেন্দু অভিযোগ তুললেন, তাতেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে।