মাদার টেরেসা, সিস্টার নিবেদিতা কী বহিরাগত : মিঠুন চক্রবর্তী

বহিরাগত ইস্যুতে এবার নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন তাঁরই এক সময়ের পছন্দের রাজ্যসভার সাংসদ ও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তী। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “বহিরাগত” শব্দটিকে নির্বাচনী প্রচারের ভাষার মর্যাদা ডুয়েছেন। এই নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ চলছেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে এখন বহিরাগত ইস্যুতে বাকযুদ্ধ চলছে। এবার এই বহিরাগত ইস্যুতে নিজেকে যুক্ত করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবারই প্রথম ভোটের ময়দানে বিজেপি-র হয়ে প্রচারে নামলেন “মহাগুরু” মিঠুন চক্রবর্তী । আর প্রথম দফার নির্বাচিনী প্রচারের শেষ দিনে ময়দানে নেমেই বহিরাগত ইস্যুতে সোজা নিজেকে, মাদার টেরেসাকে ও সিস্টার নিবেদিতাকে এক বন্ধনীতে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন মিঠুন চক্রৱৰ্তী ।

বাঁকুড়ার শালতোড়াতে প্রচারের সময় মিঠুনকে বহিরাগত ইস্যুতে সাংবাদিকরা মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করেন । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বেশ কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন, “স্বীকার করছি আমিও বহিরাগত। আর এইভাবে বহিরাগত বললে তো সিস্টার নিবেদিতাও বহিরাগত ছিলেন। বহিরাগত ছিলেন মাদার টেরেসাও।” কারও নাম না করলেও রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে পাল্টা আক্রমণ করে মিঠুন বলেন, “আসলে বহিরাগত তাঁরাই, যাঁরা ক্ষমতায় থেকেও মানুষের পাশে থাকেননি।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, “আমি ক্ষমতার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। মানুষের পাশে থাকতে এসেছি।”

এদিন মিঠুন ৪টি রোড শো করেন। এই রোড শোতে তিনি যে মানুষের মন জয় করে নেবেন সেটাই স্বাভাবিক ছিল । শালতোড়া, মানবাজার, কেশিয়াড়ি এবং ঝাড়গ্রামে রোড শো করেন মিঠুন। তাঁকে দেখতে সব জায়গাতেই মানুষের ঢল নামে। যার জেরে কোথাও কোথাও কিছুটা বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। তবে এই বহিরাগত প্রসঙ্গ ছাড়া মিঠুনের এই রড শো পুরোটাই ছিল তাঁর “ষ্টার” ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী সাফল্য ঘরে তোলার জন্য বিজেপি-র কৌশল। তবে এই ৰাজনীতিৰ মাঝে সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে ভোটের সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ “বহিরাগত” প্রসঙ্গে মুখ খুলতে হলো। কারও নাম না করেও তৃণমূলকে নিজের স্বভাবসিদ্ধ বাচনভঙ্গিতে কটাক্ষও করতে হলো একদা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.