বিভিন্ন সময় রাজ্য বিজেপির নেতারা তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে ‘ভাইপো’ বলেই আক্রমণ শানিয়ে থাকেন। শনিবারও পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে এক সভায় এই নাম নিয়েই বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক আক্রমণ করেছিলেন। এবার তাঁকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘ভাইপো না বলে, হিম্মত থাকলে সরাসরি নাম করে রাজনৈতিক সমালোচনা করুন’। তিনি আরও দাবি করেন, তৃণমূলের এই যুব নেতার চরিত্র হনন করতে চাইছে বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘হাওয়ায় কথা ছেড়ে, মিথ্যা কুৎসা ছড়িয়ে, গুজব ছড়িয়ে সস্তা হাততালি পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। হয় নাম বলুন আর নয় এই মিথ্যা ছড়ানোটা বন্ধ করুন’। এরই পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘কে দিদি, কে ভাইপো, সকলেই জানে। এনিয়ে আলাদা করে বলার নেই। আর নাম যখন বলার সময় আসবে, তখন ঠিক বলে দেওয়া হবে। বিজেপি কাউকে ভয় পায় না। পেলে লোকসভায় ১৮ আসন পেত না’।
কুণাল ঘোষ এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, একজন চিকিৎসকের ছেলে যদি চিকিৎসক হতে পারেন তাহলে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আত্মীয় রাজনীতিতে আসতে পারবে না কেন? এরপরই তাঁর দাবি, তাঁর হাতে বিজেপি নেতাদের তালিকাও রয়েছে, যাদের ছেলে আত্মীয় রাজনীতির আঙিনায় এসেছেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ছেলের নাম নিয়েও কুণাল বলেন, আকাশ বিজয়বর্গীয়ের ছেলেও তো মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক। অপরদিকে, কুণালের এই দাবি পাত্তা না দিয়ে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দিদি বললে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানো হয় তা রাজ্যবাসী জানেন। তা হলে অসুবিধা কোথায়? আমরা ঠিক সময়ে যাঁর নাম নেওয়ার নেবো’। রাজ্যে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গে।
2020-11-22