একদিকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকবেন নাকি বিজেপিতে যোগদান করবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই জল্পনা চলছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার আচমকাই জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল। দলীয় কোন্দলের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোজা স্পিকারের কাছে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র দিয়ে এলেন হুগলির বিধায়ক বেচারাম মান্না। যে হুগলি থেকে তৃণমূলের বিজয় যাত্রা আরম্ভ সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটানাকে ইতিমধ্যে ‘শেষের শুরু’ বলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
কিন্তু কেন আচমকা পদত্যাগ করলেন বেচারাম মান্না? প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভায় হুগলিতে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। তারপর থেকেই দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। হুগলি জেলা তৃণমূলে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বেচারামের কোন্দল দীর্ঘদিনের। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে নিজস্ব বনিবনা নেই। সম্প্রতি দলের ব্লক সভাপতি নির্বাচন ঘিরে সেই সঙ্ঘাত চরমে ওঠে। বর্ষিয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথের গুরুত্ব বেচারাম এর তুলনায় বরাবরই বেশি। কিন্তু দীর্ঘদিন দল করার পরেও তাঁর কথা গুরুত্ব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বেচারাম। এদিকে বেচারামের সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রকাশ্যে মুখ খুলে দল ছাড়ার কথা ভাববেন বলেও জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এখবর কানে পৌছতেই ফোন করে বেচারামকে
ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই সূত্রের খবর।
কিন্তু তার ফলাফল হল অন্যরকম। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন হরিপালের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। আগামীকাল শুক্রবার বেচারামের অনুগামীরাও সিঙ্গুরে গণ-পদত্যাগ করবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানা গিয়েছে।