মমতা ‘সততার প্রতীক নন, সারদার প্রতীক’, কটাক্ষ বিজেপি নেতার

 উনি ‘সততার প্রতীক নন, সারদার প্রতীক’। তাই এখন আর ঐ কথা লেখেননা। তেমনি ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ট্যাগ লাইনও মাঠে মারা যাবে’। বুধবার দলের রাঢ়বঙ্গ জোন কমিটির এক সভায় যোগ দিতে বাঁকুড়া রবীন্দ্র ভবনে এসে ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

এদিন দলের রাঢ়বঙ্গ জোনের অধিনে থাকা বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, দুর্গাপুর আসানসোল এলাকার এই সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, বাড়ির শিশুদেরও বাংলার গর্ব মমতা বললে তারা বিশ্বাস করবেনা। এখন এরাজ্য অনেক কিছুতেই পিছিয়ে আছে। রাজ্যের মানুষকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রণম্য মনীষীদের ‘আস্তাকুড়ে’ ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তৃণমূল-সিপিএম ও কংগ্রেসকে ‘হিন্দু বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে জয়প্রকাশ নারায়ন বলেন, এরা শুধুমাত্র সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে সিএএ, এনআরসি-র বিরোধিতা করেছে। একই সঙ্গে দিল্লীর সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা সূচণা এরাজ্যেই হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিকত্ব বিলে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে যুক্ত কাওকেই পুলিশ আজও গ্রেফতার করেনি।

আসন্ন পুরভোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশ আর তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেবে তো? যদি সাধারণ মানুষ ভোটাধিকারের সুযোগ পায় তবে বাঁকুড়া পুরসভায় বিজেপি নিশ্চিত জিতবে বলে তিনি দাবি করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের সাম্প্রতিক ভারত সফর ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের এর বিরোধীতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে পর্যূদস্ত রাজনৈতিক দল গুলি বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশ বিরোধি কাজ করছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এদেশের বানিজ্যিক যুক্তির দিক থেকে সারা বিশ্বের মুখ ঘোরাতে তারা শুধু এর বিরোধিতা করেনি দেশের মুখে ‘চুনকালি’ লাগিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

তৃণমূলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তৃণমূলের অধঃপতন হয়েছে। তাই ‘ভাড়াটে সৈনিক’ নামাতে হয়েছে। পিকে বাংলা ভাষা বা বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলে জয়প্রকাশ নারায়ণ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামনের বিজেপি ঝড় আটকাতে ওনার স্মরণাপন্ন হয়েছেন। আর উনি কর্পোরেট জগতের লোক, শুধু টাকা রোজগার করতেই জানেন বলে তিনি দাবি করেন। এদিনের বিজেপির রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ শিবিরে জয়প্রকাশ নারায়ন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বপ্রিয় মজুমদার, রাজু মিশ্র প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.