রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার বলি আরও এক BJP কর্মী। এবার ঘটনা ঘটেছে নদীয়ার চাপড়ায়। তৃণমূল (Trinamool) নেত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) একদিকে যখন নিজেকে এবং দলকে গণতান্ত্রিক বলে পরিচয় দিতে ব্যাস্ত। তখন আরেকদিকে তৃণমূলের হাতে এরাজ্যে বারবার ধর্ষিত হচ্ছে গণতন্ত্র। রাজ্যে এখনো পর্যন্ত হওয়া ছয় দফার ভোটে চারিদিক থেকে দেখা গেছে হিংসার ছবি। কোথাও ভোটারদের ভোট দানে বাধা। তো কোথাও বিরোধী দলের বুথ এজেন্টদের মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এমনকি বাদ যায়নি বিরোধী দলের প্রার্থীরাও। বিরোধীদলের প্রার্থীদের উপরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চালিয়েছে হামলা।
গত মঙ্গলবার রাজ্যে এক বড়সড় হিংসার ছবি দেখেছে গোটা দেশ। অমিত শাহ এর রোড শোয়ে তৃণমূলের হামলায় জ্বলে উঠেছিল কলকাতার রাজপথ। এরপরেও তৃণমূল নেত্রী নিজেদের শান্তি প্রিয় দল বলে পরিচয় দিয়ে সমস্ত দোষ বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। দেশ স্বাধীনের পর এই প্রথম বাংলায় ৩২৪ ধারা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার বাংলার বদনাম হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ঝুটা গণতন্ত্রের নামে।
এবারও সেই গণতন্ত্রের নগ্ন রুপ দেখা গেলো নদীয়ার চাপড়া থেকে। কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত নদীয়ার চাপড়ায় বিজেপির কর্মী হারাধন মৃধাকে (Haradhan Mridha) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে তৃণমূলের গুণ্ডারা। মৃত হারাধন মৃধা (৪৬) বিজেপির বুথ কর্মী ছিলেন বলে জানা যায়। বুধবার ভীমপুর থানার এলাঙ্গী গ্রামে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা হারাধন মৃধাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে।
ঘটনার খবর পেয়ে ভীমপুর থানার পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হারাধনকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের নিয়ে আসে। পুলিশি নজরদারির মধ্যে রাখা হয় তাকে। পরিবারের অভিযোগ, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভীমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মীরা। অবরোধ করা হয় কৃষ্ণনগরের রাজ্য সড়ক। পরে পুলিশের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।