একের পর এক বৈঠক নিষ্ফলা। কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতায় যে উত্তাল ঝড় উঠেছে গো বলয়ে, তা থামাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। আজ ফের কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কেন্দ্র। তবে তার আগে জরুরি বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
সকালেই এই বৈঠক হওয়ার কথা। কৃষক বিক্ষোভে আটকে দিল্লির রাজপথ। হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লি ঢোকার রাস্তায় কার্যত চলছে অবরোধ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসতে চলেছেন বিক্ষোভকারীরা। ফসলের নূন্যতম মূল্য সহ একাধিক দাবি উঠে আসতে চলেছে বৈঠকে। তবে গোটা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যে অস্বস্তিতে, তা স্পষ্ট।
এদিকে, বিতর্কিত কৃষি আইন অবিলন্বে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন ডেকে বাতিল করুক মোদী সরকার, না হলে দিল্লি ঘেরাও আরও জোরদার হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে সারা ভারত কৃষক সভা নেতৃত্বে চলা ৩৫টি কৃষক সংগঠন।
কৃষকদের দাবি, বিজেপির সরকার যে কৃষি আইন এনেছে তা সর্বনাশ ঘটাবে দেশের কৃষিক্ষেত্রে। কৃষকরা পুরো কর্পোরেট দাস হয়ে পড়বেন। আইনটি বাতিল করার দাবিতে বিক্ষোভ তুঙ্গে। বিক্ষোভের অন্যতম নেতৃত্বে বামপন্থী কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, নতুন তিন কৃষি আইন আসলে কৃষকদের জন্য মৃত্যুর পরোয়ানা। এটাই জারি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্র সরকারকে। একই সঙ্গে নতুন বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন।
কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর দিল্লি ঘেরাও অবস্থান থেকে কোনওভাবেই পিছু হটার পথে যেতে নারাজ প্রায় ১২ লক্ষ কৃষক। প্রতিদিনই এই বিক্ষোভে অংশ গ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার কৃষক নেতা গুরনাম সিং চান্দোনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এই পদক্ষেপ কি সেটি স্পষ্ট করেননি কৃষক নেতৃত্বরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দিল্লিতে খাদ্য শস্য, সবজি ও দুধের যে বিপুল সরবরাহ পাঞ্জাব, হরিনাথ, উত্তর প্রদেশ থেকে আসে সেটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে রাজধানীতে খাদ্য সংকট আরও বাড়বে।