ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বাতিল করে পাকিস্তান ‘নিজের পায়ে কুড়ুল মারা’ এই প্রবাদটি চরিতার্থ করেছে। ভারতের সাথে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় পাকিস্তানে ফল ও সবজির দাম আবারো আকাশে পৌঁছেছে। 12 আগস্ট ঈদ উৎসবের কারণে পাকিস্তানের জনগণের সমস্যা বেড়েছে। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বলছেন যে, ইমরান খানের উচিত ছিল ঈদের পরে অন্তত ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বন্ধ করে দেওয়া।
ঈদের সময় মানুষজন চাই একটু হাতে টাকা পয়সা তথা অর্থ আসুক। কিন্তু পাকিস্তানে এখন উল্টো ঘটনা ঘটছে। মানুষজনের হাত থেকে টাকা পয়সা বেরিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ ক্রেতা বাজারে যেতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির কারণে। অন্যদিকে ভারতে রফতানি করা পণ্য গুদামে পচা শুরু হয়েছে। এক কথায় স্থিতি খুবই ভয়াবহ হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের জনতার। এত বড়ো উৎসবের এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেনি পাকিস্তানের সাধারণ জনতা।
পাকিস্তান সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের দরুন ভুগতে হচ্ছে দিন আনা দিন খাওয়া লোকজনদের। এমন কঠিন পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে যাতে তারা ঈদ পালন করতে পারে তার জন্য আল্লার কাছে দোয়া চাইছেন। করাচি, লাহোর ও ইসলামাবাদের বাজার থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে টমেটোর দাম আবারও প্রতি কেজি ৫০০ টাকার উপরে পৌঁছেছে। ১০০ টাকারও কম দামের সবুজ শাকসব্জি নেই। একই অবস্থা ফলের ক্ষেত্রেও। শুধু তাই নয়, ঈদ উপলক্ষে পাকিস্তানে গার্হস্থ্য গ্যাস ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
পাকিস্তানের লোকেরা বলছেন যে ইমরান খান রাজনীতিতে একজন অপরিপক্ক প্রধানমন্ত্রী। তিনি ট্রাম্প এবং মোদীর দু’জনকেই সঠিকভাবে সামলাতে পারেননি। ফলস্বরূপ, কাশ্মীর ইস্যু হাতছাড়া হয়ে গেছে। একই সঙ্গে, কাশ্মীর সম্পর্কে ভারত সরকার গৃহীত স্বল্পদৃষ্টির সিদ্ধান্তের কারণে, পাকিস্তানের জনগণকে ভারতের পরিবর্তে লোকসান, অশান্তির শিকার হতে হয়েছে।