প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আমলে শুরু হওয়া আয়ুষ্মান ভারত ও কৃষি সম্মান প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে শর্তসাপেক্ষে রাজি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া মারফত মুখ্যমন্ত্রী দুটি চিঠি প্রকাশ এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে চিঠি লিখে এ সে তার সম্মতি ও শর্তের কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্প ও কৃষক সম্মান প্রকল্পের (Krishak Sanman Project) বাস্তবায়ণে তিনি রাজি। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের জন্য সমগ্র খরচ কেন্দ্রকে বহন করতে হবে। এবং দুই, ওই অর্থ রাজ্য সরকারের মাধ্যমে খরচ করতে হবে কেন্দ্রকে। তাঁর আরও দাবি, কৃষক সম্মান প্রকল্পের রূপায়ণেও রাজ্য রাজি। তবে কৃষকদের প্রাপ্য সেই টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে কেন্দ্রকে। তার পর রাজ্য সরকার তা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের অনুদানে চলা এই ধরনের প্রকল্প বর্তমানে ডাইরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফারের মাধ্যমে রূপায়িত হয়। অর্থাৎ উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্রের সরকার। এই ব্যবস্থা যে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় শুরু হয়েছে তেমনটা নয়। ইউপিএ জমানায় ড. মনমোহন সিংহ (Manmohan Singh) সরকারের আমল থেকেই এই পদ্ধতি চালু হয়েছে। কিন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন সেই অর্থ রাজ্য সরকার মারফাত খরচ করার। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। কারণ দুটি প্রকল্প সারা দেশের জন্য একরকম পশ্চিমবঙ্গের জন্য পৃথক হতে পারে না। এহেন মুখ্যমন্ত্রীর কৌশলী চাল আবারো ব্যর্থ হবে বলেই মনে করছে বাংলার রাজনৈতিক মহল।
ঘটনাচক্রে এদিনই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) কিষাণ সম্মান প্রকল্প নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “কুমিরের কান্না কাঁদলে কৃষকদের দুর্দশা ঘুচবে না। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ৮৪ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লক্ষ কৃষক। নাহলে এতদিনে প্রত্যেক কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১২ হাজার টাকা করে জমা পড়ত।” এদিন সকালে পরপর তিনটি টুইট করে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের কৃষক সমাজকে বঞ্চিত করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।