নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে মৃদু মাত্রার জিহাদ এবং তার সাথে খিলাফত, মোপলা এবং প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ভয়াবহ সাদৃশ্য
পাল্টায়নি কিছুই। জিহাদী মদতপুষ্ট নাটকীয় হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্রীয় মঞ্চ আজও একই আছে। শুধু মাত্র এর দিক এবং অভীক্ষা বদলে গেছে এবং ক্রমশ পশ্চিমের দিকে প্রসারিত হয়েছে। প্রসারিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর প্রদেশের দিকে। অদূর ভবিষ্যতে এই হত্যাকাণ্ডেরই আরো একটা পটভুমিকা তৈরী হতে চলেছে, একদম উত্তরে, ভারতবর্ষের পশ্চিমাঞ্চলে, সেই পাঞ্জাবে যেখানে আমরা সত্তর বছর আগেই হেরে গেছি, আমরা হারিয়ে ফেলেছি, তবুও আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়েই নিজেদেরকেই অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছি।
পাল্টায়নি কিছুই। এবং যা কিছু ঘটতে চলেছে তার কোন কিছুই কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়। বরং বলা যেতে পারে প্রশ্নটা হল “কখন?”
অনারবদের সর্বশেষ ঘাঁটি
জাতী হিসেবে ইন্ডিয়া অথবা ভারতবর্ষ (India) সর্বশেষ প্যাগান দুর্গ এবং সত্যিকারের সভ্যতার অভিভাবক হিসাবে বর্তমানে এবং আনুমানিক বিগত এক শতাব্দী ধরে, ঐতিহাসিক অন্তর্দৃষ্টির এক ভয়ানক নিষ্ঠুর বিলাসিতার প্রদর্শন করেছে। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস সেদিনই ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের কৃতিত্বের অধিকার হারিয়েছে যেদিন তৎকালীন পাকিস্তানের সাথে পূর্ণ জনবিনিময় চুক্তিকে খারিজ করে দিয়েছিল। আর তখন থেকেই ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ভয়ঙ্কর রকমের প্রশ্নের মুখে। হাজার বছর ধরে যেটা আমাদের সভ্যতাকে উৎসর্গের বেদীতে বসিয়েছিল, যা ছিল ভারতের ধর্ম, তা আমরা পরিত্যাগ করলাম, আর গ্রহণ করলাম এক নকল সংবিধান। এবং এর ফলশ্রুতিতে, আমাদের বিগত বাহাত্তর বছরের ইতিহাসে আমরা এমন একটি সংবিধান পেয়েছি যা আমাদের চিরন্তন ভারতীয় পরম্পরাকে বার বার আঘাত করেছে। এবং সম্ভবত এভাবেই আমরা আমাদের ধর্ম হারিয়েছি। ভয়ঙ্কর হলেও এটা সত্য যে একটা হিন্দু সমাজের একাংশ ধর্ম পরিবর্তন করেছে এবং খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছে।
দেশ ভাগের কারিগর যে দলটি
আমাদের এটা বুঝতে দীর্ঘ সাত দশক লেগেছিল যে গান্ধীর কংগ্রেস অথবা আরো পরিষ্কার করে বললে নেহরুর কংগ্রেস খোলাখুলি ভাবে যে শুধু ভারত ভাগ করেছিল তাই নয়, মুসলিমদেরকে একটা আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তান (Pakistan) উপহার দিয়েছিল। এবং আরো ভাঙনের এক গাদা সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিল। আর এই ভাঙন রোধের একটা ঐকান্তিক এবং শেষতম প্রচেষ্টাই হল এই নাগরিকত্ব সংশোধন আইন। আরো পরিষ্কার করে বলতে গেলে বলা যায় বিশ্বব্যাপী ভারতবর্ষকে ভাঙার জন্য যত গুলো শক্তি এক সঙ্গে হয়ে কাজ করে চলেছে নিরন্তর, জাতীয় কংগ্রেস হল তার একটি প্রধান রাজনৈতিক শাখা। সন্দেহ জাগে ১৯৪৭ সালে আমরা আদৌ স্বাধীনতা পেয়েছি কি?
প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস
আবারো বলছি পাল্টায়নি কিছুই। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) হয়ে কেরল একই ঘটনার বার বার পুনরুত্থাপন ঘটে চলেছে।সাম্প্রতিকতম ইতিহাসের জ্বলন্ত উদাহরণ হল হিন্দু বিরোধী প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস যা আচার্য রমেশচন্দ্র মজুমদার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জ্যোতিষ্করা সংজ্ঞায়িত করেছেন “কলকাতার গণহত্যা” বা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং বা কোলকাতার ব্যাপক গণহত্যা রূপে। জিন্নার মানস পুত্র হিসাবে তখনকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, জিন্নার বিশ্বস্ত সৈনিক শেখ সুরাবর্দি, যিনি জিন্নার সুযোগসন্ধানী মানসিকতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে কাজ করেছেন, যিনি কোলকাতার বুকে শুধু যে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডই তখন সংগঠিত করেছেন করেছিলেন তাই নয়, তাঁর মানসিকতার নগ্ন রূপ প্রকাশ করেছিলেম তখনকার দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায়। তিনি খোলাখুলিই লিখেছিলেন,
“Bloodshed and disorder are not necessarily evil in themselves, if restored to for a noble cause. Among Muslim, today no cause is dearer or nobler than PAKISTHAN”
সুরাবর্দির মানসিকতার একটা বলিষ্ঠ বর্ণনা, তাঁর নির্লজ্জ মনোবৃত্তির এবং হুমকি ধমকির যে নিজস্ব পদ্ধতি ছিল তার একটা চমৎকার বর্ণনা সুরাবর্দির একজন সুহৃদ লেখকের নিজস্ব বর্ণনায় তুলে ধরা হল
“Mr Suhrarwardy was a party boss of the type who believes that no politicians need ever be out of office once his strong-arm squads have gained control of polling booths ; that no minister should ever suffer financially by being in public life: that no relative or political cohort should ever go unrewarded. He loved money, champagne, polish blondes and dancing the tango in night clubs….. He loved Calcutta,including his filthy, festering slums, and it was from noisome alleyways of Howrah that he picked the Goondas who accompanied him everywhere as a bodyguard”
হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ : প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের কিছু খণ্ডচিত্র
ভয়ঙ্করতম সেই দিন ছিল কোলকাতার হিন্দুদের কাছে মেরুদণ্ড দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যাওয়ার দিন। এক সাথে শয়ে শয়ে জিহাদীরা আর সাথে সশস্ত্র উন্মত্ত বাহিনী অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কোলকাতার নিরস্ত্র হিন্দুদের উপরে। একটা ছোট্ট ঘটনার এখানে উল্লেখ করা যায়; উন্মত্ত জিহাদী বাহিনী একজন বৃদ্ধাকে রাস্তায় থামাল, তারপর তাঁকে ধরে চরমভাবে উত্যক্ত করা শুরু করল, তাঁকে উচু করে লুফালুফি শুরু করে দিল, সব শেষে লাঠির ঘায়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে তাঁকে খুন করা হল। খেলাচ্ছলে খুন, ঠান্ডা মাথায় খুন। সারা কোলকাতাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলার প্রয়াসে খুনোখুনি শুরু হল। তারপর সেই বৃদ্ধার ছিন্ন ভিন্ন দেহ নিয়ে খেলা শুরু করে দিল জিহাদীরা। একটা গাড়ির চাকায় সেই বৃদ্ধার দেহ ঘষে দেওয়া হল শুধু মাত্র ভয়াবহতার তীব্রতা বৃদ্ধির জন্য। এর পরে ছোট ছোট মেয়ে এবং বৃদ্ধাদেরকে বাধ্য করা হল নিজ হাতে ছুরি দিয়ে গরুর গলা কাটতে। এখানে উল্লেখ করা যায় যে কোলকাতার সেই বিখ্যাত মন্বন্তরের সময়েও কোন হিন্দু স্বেচ্ছায় গোহত্যা করেনি অথবা বাধ্য হয়েও গরুর মাংস ভক্ষণ করেনি। এই সম্প্রতিক সময়ে কেরালার এক যুব কংগ্রেস নেতার প্রকাশ্যে দিবালোকে গোহত্যা করার ঘটনাটি কিন্তু সুরাবর্দির সেই সময়কার ঘটনাকেই মনে করিয়ে দেয়। পার্থক্য হল তখন সুরাবর্দি এই কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই লড়ছিল একটা আলাদা মুসলিম রাষ্ট্রের তীব্র বাসনায়।
আসলে পাল্টায়নি কিছুই। সুরাবর্দির থেকেও আরো খারাপ কে বলুন তো? আর কেউ সীমাহীন তোষণ করেন? ভেবেছেন একবার? এই বাংলায় সংখ্যালঘু মুসলিমরাই পুলিশ প্রশাসনের নীরবতার সুযোগ নিয়ে হিন্দুদের উপরেই অত্যাচার চালায় কোন ক্ষমতার যাদুবলে ভেবে দেখেছেন এক বারও? তিনি আসলে সুরাবর্দিরই ভাবশিষ্যা,যিনি জানেন এদেরকে দিয়েই হিংসার বাতাবরন সৃষ্টি করানো যাবে আর তার ফসল ঘরে তোলা যাবে। ঠিক যে উদ্দ্যেশ্যে ভারতবর্ষের ৩৩% কেটে নিয়ে পাকিস্থান সৃষ্টি করা হয়েছিল শুধু মুসলিমদের জন্য।ঠিক যে কারনেই আমাদের সকলকে অবশ্যই ডাইরেক্ট একশন ডের সঙ্ক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত জানা দরকার।
“Between dawn on the morning of 16 August,1946 and dusk three days later,the people of Calcutta hacked, battered,burned, stabbed or shot 6000 of each other to death,and raped and maimed another 20000…..but the filthy and dreadful slaughter which turned Calcutta into a charnel house for 72 hours in August 1946 is important because it didmore than murder innocent people”
এই ঘটনা ভারতবর্ষের গঠনকাঠামোকেই প্রায় বদলে দিয়েছিল। ইতিহাস অন্য খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করেছিল। চিল শকুনে খেয়ে পরিষ্কার না করা পর্যন্ত চৌরঙ্গি স্কোয়ারের ভাগাড়গুলিতে পুরুষ,মহিলা, শিশুদের দেহ পড়েছিল যারা ছিল সবাই হিন্দু। হিন্দুদেরকে চেতনা ও মনন পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল জিন্নার চামচা সুরাবর্দির পোষা কুত্তারা।
দেশভাগের রায়
কায়েদ-এ-আজম জিন্না তার ভাবশিষ্য সুরাবর্দির দ্বারা কৃত এই প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের গণহত্যার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের তদানীন্তন কংগ্রেস নেতৃত্বকে একটা বার্তা দিয়েছিল যে দেখো তোমরা যদি পাকিস্তানের দাবী না মানো তাহলে আমরা কী করতে পারি। আর এভাবেই পাকিস্তান তৈরী হল, এভাবেই পাকিস্তানের দাবী মেনে নিল নেহরু ব্রিগেড। কারণ এক শহরের এই গণহত্যা কাঁপিয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। এভাবেই সমাপ্ত হয়েছিল গান্ধিজীর সাহসী অহিংসা নীতির যথার্থ প্রদর্শন। এবং তাই এই কংগ্রেসের ভাগ্য এক ইটালীয় দ্বারা পরিচালিত হওয়া ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। হিংস্র ইসলামী জেহাদের দ্বারা ঘটিত দেশভাগ গান্ধিজীর বিকৃত নৈতিকতা ও মেকি শান্তি প্রতিষ্ঠার অর্বাচীন চেষ্টার ফল মাত্র।
মালাবার পাহাড়ের উপরের সেই বাড়িটি
১৯৪৬ সালে যখন জিন্না প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ঘোষণা করেন তখন তিনি কংগ্রেসের কাউকে এই ঘটনার কথা ঘুণাক্ষরেও জানাননি। জানিয়েছিলেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড ওয়াভেলকে। বিশেষত গান্ধীর শূন্যগর্ভ কথাবার্তা ও কর্মপদ্ধতি জিন্নাকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করে তুলেছিল হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে। নেহরু জিন্নাকে কখনোই গুরুত্ব দেননি আর জিন্নাও নেহরুকে ভয়ানক রকমের নির্বোধ ভাবত। তার মতে নেহরু ছিলেন একজন উদ্ধত ব্রাহ্মণ। এখানে জিন্নার নিজের কথায় জানা যাক
“[Neheru is] an arrogant Brahmin who covers his Hindu trickiness with a veneer of Western education. When he makes promises,he always leaves a loophole; and when he cannot find a loophole, he just lies”
নেহরুও জিন্নাকে কম অপছন্দ করতেন তা নয় উপরন্তু তিনি জিন্নাকে কখনোই একজন যথার্থ মুসলিম বলেই মনে করতেন না। এবং এই পারস্পরিক ঘৃণার মধ্যেই নেহরু বাধ্য হলেন জিন্নার সাথে জিন্নার বাড়িতে মালাবার পাহাড়ে দেখা করতে। কারণ ভাইসরয় ওয়েভেল নেহরুকে বুঝিয়েছিলেন যে তিনি জিন্নাকে বলবেন প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস তুলে নেওয়ার জন্যে। নেহরুর কাছে এটা ছিল অপমানকর কিন্তু জিন্নার কাছে এটা ছিল জয়। ৮০ মিনিটের বৈঠকে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠল।
জিন্না সমর্পণ করতে রাজী হলেন না। নেহরুও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হল জিন্নাকে ধ্বংস করার জন্যে কারণ জিন্নাই ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পক্ষে তখন প্রধান অন্তরায়। নেহরু ভয়ঙ্কর রকমের সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন এবং তিনি যখন জিন্নার বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন তখন বিভিন্ন মুসলিম বাড়ি থেকে এবং দোকান থেকে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস লেখা ব্যানার দেখতে পেয়েছিলেন। এই লেখাগুলোর ভয়াবহ মর্মার্থ বুঝতে নেহরু ব্যর্থ হয়েছিলেন। বোম্বের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেও এই জিনিস তিনি লক্ষ্য করেছিলেন। তবুও তিনি এই অশনিসঙ্কেতগুলো ধরতেই পারেননি, অথবা ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গিয়েছিলেন তার দায়। তিনি জিন্নার সাথে লড়াই না করে কল্পনায় তিনি পাকিস্তান মিথ এর উপর ভরসা করতে শুরু করলেন।
নেহরু জিন্নাকে এবং সুরাবর্দির সরকারকে বার বার বোঝাবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খুনী সুরাবর্দি সরকার ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট দিন টিকে ছুটির দিন ঘোষণা করল। আগের থেকেই প্রস্তুত মুসলিম লীগ সদস্যরা এবং উন্মত্ত মুসলিম জনতা কোলকাতার রাস্তা দখল করে নিল। মুসলিম লীগের হিংস্র,সশস্ত্র গুন্ডারা ঝাঁপিয়ে পড়ল নিরস্ত্র হিন্দুদের উপর। হিন্দুদেরকে গরু ছাগলের মত কুপিয়ে খুন করা হল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই সুরাবর্দির নেতৃত্বে এই হত্যালীলা চালানো হল। আর সুরাবর্দির পুলিশ প্রশাসন বুক দিয়ে বাঁচাল মুসলিম লীগের গুন্ডাদের।
খিলাফত
চিত্রপট একই আছে। পাল্টায়নি কিছুই। রাজ্য সভায় সিএএ (CAA) বিল পাসের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্ষোভ শুরু হল। মনে রাখতে হবে এটা কিন্তু কোন ভাবেই হঠাৎ করে নয়। বিরোধী বাম, কংগ্রেস সবসময় প্রস্তুত সরকারের বিরুদ্ধে এই জিহাদকে উস্কে দিতে। কিছু নেতা তো নিজের মতের জনগণকে অথবা অনুসারিদের উস্কে দিয়েই বিক্ষোভ ঘটাতে শুরু করে দিল।
ভেবে দেখুন পালটায়নি কিছুই। হত্যা, খুন জখমের ইতিহাসের আবার পুনরাবৃত্তি শুরু হল। একের পর এক গোটা ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হল। একটা গোটা স্টেশন লুট করা হল। চার দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত পুড়ে খাক হয়ে গেল। বাড়ির শিশুদের হাতেও অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে পাঠানো হল আগুন জ্বালাতে, গাড়ি ভাঙচুর করতে। তাড়কা এবং শূর্পণখা নির্লজ্জের মত আবার জমায়েত করল কিন্তু মিডিয়া এটাকে একটা সাধারণ জমায়েত আখ্যা দিল। মিডিয়া প্রতিবাদের দোহাই দিয়ে চুপ থাকল। পশ্চিম বঙ্গ থেকে আলীগড়ের মুসলিমরা আওয়াজ তুলল দ্বিতীয় খিলাফতের। এখন তাই সময় হয়েছে হিন্দুদের স্মরণ করানোর। কীভাবে মালাবার অঞ্চলে প্রথম খিলাফতের সুত্রপাত হয়েছিল, সেই ধারা কিন্তু পরিবর্তন হয়নি কিছুই। মৌলানা আজাদ তাঁর ইন্ডিয়া উইন্স ফ্রীডম গ্রন্থে লিখেছেন
“ Jawaharlal is one of my dearest friend…..I have nevertheless to say with regret that he is at times apt to be carried away by his feelings not only so, but sometimes he is so impressed by theoretical consideration that he is apt to underestimate the realities of a situation. The mistake of 1946 proved ….costly;
ভাবুন পাঠক ভাবুন। দ্বিতীয় খিলাফতের নামে এরা আসলে কী চায়?
সজল মন্ডল