পত্রিকা প্রকাশনার শুরুতেই ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’-এর মূল লক্ষ্য সম্বন্ধে দু-চার কথা না বললে সার্বিক উদ্দেশ্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই ন্যাস সম্বন্ধে কয়েকটা কথা পরিবেশন করছি। ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’-এর জন্ম ২০০৭ সালে; ভারতমাতার সুপুত্র শ্রদ্ধেয় দীননাথ বাত্রা মহাশয়ের মানস কন্যা এই সংগঠন; মা-ভারতীর অপরাপর গুণী ও প্রবুদ্ধজনের সমবেত সঞ্জীবনী সুধায় তার পরিপুষ্টি। যদিও এর এক অগ্রজা-সংগঠন ছিল; তা হল ‘শিক্ষা বাঁচাও আন্দোলন সমিতি’। পুরাতন সংগঠন প্রথমে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ শুরু করলেও, ক্রমে তার পরিব্যাপ্তি ঘটলো ন্যাস গঠনের মাধ্যমে। মাননীয় বাত্রা মহাশয় চেয়েছিলেন ন্যাস-এর লক্ষ্য হবে — সংগঠিত রাষ্ট্রবাদী সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ-বিরোধী-শক্তিকে পরাস্ত করা, যারা পরিকল্পিত ভাবে হিন্দু-চেতনা ও সনাতনী-বোধের উপর নিরন্তর আঘাত করে চলেছে। এক অদ্ভুত আঁধারকে ক্রমেই ঘনীভূত করে তুলেছে দেশবিরোধী শক্তি। সেই ঘনান্ধকার কালোর ভ্রুকুটিকে অপসারণের মধ্যেই ঘটবে ভারতীয় শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনের সূচনা, এক নব দিগন্ত। ন্যাসের আস্থা পরম্পরাগত জাতীয়তাবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার উপর, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নবযুগের পরত। আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে পুরাতন-নূতনের যথার্থ মেলবন্ধনই হবে নূতন মডেল।
প্রস্তুত পত্রিকাটি ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’-এর পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের মুখপত্র; বাংলা ভাষায় প্রকাশিত নতুন এক সাময়িকী। সাধারণত পত্রিকা প্রকাশিত হলেই তার স্থায়িত্ব নিয়ে চিন্তিত হন আগ্রহী পাঠক। পত্রিকা মানেই যে বনফুল হয়ে বনে ঝরে পড়া নয়; পত্রিকা যে বৃহৎ আদর্শ ও লক্ষ্য-বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে মহীরূহে পরিণতি, তার অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে চায় আজকের ভূমিষ্ঠ শিশু। শিক্ষা ও সংস্কৃতির নানান পল্লবে, কুসুমে আলোচনার মালঞ্চ ভরে উঠুক, আমরা তারই জন্য ডাক দিয়েছি। প্রথম সংখ্যার বিষয় পরিবেশ ভাবনা। এতে যেমন অংশগ্রহণ করেছেন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, তেমনই রয়েছেন আমন্ত্রিত সদস্যরাও; চিন্তার সৌকর্যের মেলবন্ধন চলবেই। জাতীয়তাবাদী সকল পাঠক তাদের মনোভূমির দেওয়া-নেওয়া এই পত্রিকার মাধ্যমে সংযোগ-সামর্থ্যে গড়ে তুলতে সক্ষম হলেই পত্রিকার উদ্দেশ্য পূরণ হবে। সকলকে স্বাগত জানাই এই পত্রিকার কুসুমোদ্যানে; স্নানযাত্রার এই পুণ্য দিনে।
‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান বার্তা’-র পক্ষে শ্রী অরিন্দম মজুমদার (চলভাষ ৯৭৪৮৩৬৩২০৯) কর্তৃক হরিসভা (হোলি চাইল্ড স্কুল), ব্যারাকপুর, কোলকাতা ৭০০ ১২২ হইতে প্রকাশিত; শ্রী প্রসেনজিৎ পাল কর্তৃক সম্পাদিত এবং শ্রী বিপুল বিশ্বাস কর্তৃক প্রচারিত। অতিথি সম্পাদক ড. কল্যাণ চক্রবর্তী। সম্পাদক মন্ডলী: শ্রী মৃণাল কাঞ্জিলাল, শ্রীমতী বর্ণালী চক্রবর্তী, শ্রী সুমন দাশগুপ্ত, শ্রী মহাদেব ভট্টাচার্য, শ্রী সুদীপ মিত্র, শ্রী পার্থ ব্যানার্জী।
করোনা-পরিস্থিতিতে জনজীবন ও পরিবেশ: দেশবাসীর ভূমিকা
মাতৃ রূপিনী গঙ্গা আজ গভীর সঙ্কটাপন্ন