বামেদের ভয়ংকর হিন্দুবিদ্বেষ

কদিন ধরে বিশিষ্ট আইনজীবী, প্রাক্তন মহানাগরিক তথা মেয়র বিকাশরঞ্জন ভটাচার্যের কয়েকটা ফেসবুক পোস্ট খুব অবাক করেছে আমাকে। এই টালমাটাল সময়ে দাঁড়িয়ে ওনার মত একজন মানুষ দিল্লীর দাঙ্গায় সরাসরি এবং শুধুমাত্র হিন্দুদের দোষারোপ করে উস্কানি দেবেন, এটা সত্যিই ভাবতে পারিনি। দুই পক্ষের গন্ডগোল, হিন্দু মারা গেছে, মুসলিম মারা গেছে, পুলিশ মারা গেছে, আই বি র অফিসার মারা গেছে।। যারাই মারা গেছে তারা সবাই ভারতীয়।। আমার ভারত মায়ের সন্তান।। যে মেরেছে সেও ভারত মায়ের সন্তান।। আমি এটাকে ভায়ে ভায়ে গন্ডগোল, খুনোখুনি ছাড়া আর কিছুই বলব না।। এবং এই আশা নিয়েই বেচে থাকব যে ভাইয়ে ভাইয়ে মারপিট হবে, আবার ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে। গলাগলি, কোলাকুলি সব আগের মতই ফিরে আসবে। অশান্ত সময় কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয়না, অন্তত এই আশা নিয়েই বাচি আমরা।

কিন্তু বিকাশরঞ্জন বাবু এবং মোহম্মদ সেলিম সহ এই বামপন্থিরা এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে যেভাবে শুধু মাত্র হিন্দুদেরকে দেগে দিয়েছেন তাতে বামেদের সেই মরিচঝাপি মার্কা হিন্দু বিদ্বষের এজেন্ডাই সামনে চলে এসেছে।।

সব দোষ হিন্দুদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে উনি হয়ত ভাবছেন মুসলিম দের চোখে দরদী প্রতিপন্ন হলাম, আর তার প্রতিফলন ভোট বাক্সে টেনে আনতে সক্ষম হব তাহলে ঠিক আছে।। এটাই বামেরা করে এবং দক্ষতার সাথে করে থাকে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে এই রাজনীতি করতে যেয়ে একটু বেশী মাত্রায় উস্কানি দেওয়া হয়ে গেল না কি?

কেন জানিনা বামেরা তীব্র হিন্দু বিদ্বেষী।। ইতিহাসের পাতায় ওদের এই হিন্দু বিদ্বেষের নির্মম কাহিনী বার বার ফিরে ফিরে এসেছে। মরিচঝাপিতে ওরা বাঙালি উদ্বাস্তু হিন্দুদের গুলি করে মেরেছে, টিউবওয়েল এর জলে বিষ মিশিয়ে মেরেছে। তার ও পরে বিজন সেতুতে নিরস্ত্র সন্ন্যাসী দের পুড়িয়ে মেরেছে প্রকাশ্যে দিবালোকে।। বাংলাদেশ থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে পালিয়ে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন থেকে দাঙ্গায় উস্কানি সব দিয়েছে।। ওদের তীব্র হিন্দু বিদ্বেষের বিষ বাস্প আকাশে বাতাসে রাত দিন উগরে দিয়েছে।

দিয়েছে শুধু মাত্র মুসলিম ভোটের লোভে।। মুসলিমদের কাছের মানুষ সাজতে যেয়ে সরাসরি হিন্দুদের উপরে আক্রমনে নেমেছে। নিজেদেরকে প্রচন্ড শিক্ষিত ভাবা এই বাম উদগা* গুলো নিজের মতের বাইরে অন্য কোন মত সহ্যই করতে পারে না।। ওদের মতের বাইরে গেলেই চাড্ডি, গোমুত্র সেবী বলে দেগে দিতে এক ইঞ্চিও পিছপা হয় না।। আর ওদের এই আত্মসর্বস্বতা সম্পন্ন অহংকারের জন্যেই দিল্লীতে সিপিএম এবং সুপি আই এর মোট ভোট . ০৩ শতাংশে নেমেছে। যেটা ওখানে নোটার প্রাপ্ত ভোটের চেয়েও ১৫ গুন কম।।

ওদের চৈতন্য কবে হবে জানিনা। তবে রিসেন্ট একটা সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে পরিস্কার বলা হচ্ছে ওরা মানসিক বিকারগ্রস্ত।। আমেরিকান একটি সায়েন্স ব্লকের একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।। ওরা মানসিক ভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।। দেশ দ্রুত শান্ত হোক।। ভাইয়ে ভাইয়ে গলাগলি আর কোলাকুলি আবার শুরু হোক। দ্রুত শুরু হোক।

বিকাশ রঞ্জন বাবুর সেই পোস্টের স্ক্রীন শট এখানে দেওয়া হল।

সজল,২৬:০২:২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.