দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তারপরেই মুকুলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগেই কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। তখনই বাংলা রাজনীতির নামে জল্পনা ছিল, রাজ্যের সাংগঠনিক রদবদলের পর মুকুল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে পারে বিজেপি (BJP)। তাই তড়িঘড়ি প্রাক্তন রেলমন্ত্রীকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরপর দুদিন অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে কথা হয়েছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ মুকুল রায়ের।
মুকুল রায়ের দিল্লি যাওয়ার আগেই তার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাঁকে। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে রেলের পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। আবারো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন তিনি। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর তেমনি জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাতে নারাজ বাংলার রাজনীতির চাণক্য।
মন্ত্রীত্বের পাশাপাশি, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই বৈঠকে শাহর সঙ্গে মুকুল রায়ের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুকুল রায়কে (Mukul Roy) সামনে রেখে যে বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তাইরিন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মুকুলের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন সল্টলেকের প্রাক্তন মেয়র তথা রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সব্যসাচীর ওপর হামলার ঘটনার বিষয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশদে জেনেছেন। দিল্লিতে শাহর সঙ্গে মুকুল রায়ের একান্ত বৈঠকে সব্যসাচী ছিলেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যে মুকুল রায়ের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বে তাঁকে কোনও বড় সাংগঠনিক পদ দেওয়া যায় কিনা সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি জানা যায় দলের কোনো সাংগঠনিক পরগনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থাকার জায়গা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আবহেই অমিত শাহের তলব পেয়ে দিল্লি গিয়েছেন মুকুল রায়। পরপর দুদিন বৈঠক হয়ে গিয়েছে। তাই জাতীয় রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, মুকুলের এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদান কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার এখনই মন্ত্রিসভায় রদবদলে নারাজ। সেই কারণেই তাঁকে কিছুটা অপেক্ষা করতে হতে পারে।