স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া অনুমোদন, করোনা চিকিৎসায় ছাড়পত্র পেল রেমডিসিভির-এইচসিকিউ

মারণ করোনার(corona) চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে রেমডিসিভির ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুই বা এইচসিকিউ। শনিবার এক নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানানো হয়েছে মাঝারি মাত্রার করোনা আক্রান্তদের রেমডিসিভির ও করোনার প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসায় এইচসিকিউ ব্যবহার করা যাবে।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, যে সব করোনা আক্রান্তদের শারীরিক পরিস্থিতি জটিল, তাদের ক্ষেত্রে এই দুটি ওষুধ কার্যকর প্রমাণিত হবে না। এদিন প্লাজমা থেরাপিকেও ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রে খবর এই থেরাপিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজ হয়েছে। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন আক্রান্তরা। ফলে প্লাজমা থেরাপিও চালানো যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহারের মাত্রা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।

এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক এইচসিকিউয়ের সঙ্গে দেওয়া যাবে না। এই ওষুধ দেওয়ার আগে ইসিজি করে নেওয়া বাঞ্ছনীয় বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, হঠাতই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের অন্যতম মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’ একটি সমীক্ষায় জানায়, অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল এই ওষুধ ব্যবহারে কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুর সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরের সপ্তাহে এমন সিদ্ধান্ত নেয় হু।

যদিও আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানান, এইচসিকিউ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন তাঁরা। মার্চ মাস থেকেই এইচসিকিউ-র ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে আইসিএমআর। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেও, এর ভূমিকা করোনা প্রতিরোধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আইসিএমআর এর অনুমোদন বাতিল করছে না।

হু-র পক্ষ থেকে জানানো হয় করোনা ভাইরাসের সম্ভ্যাব্য চিকিৎসার খোঁজে ‘সলিডারিটি ট্রায়ালে’র জন্য বিশ্বের একাধিক দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের নাম নথিভূক্ত করা হয়েছিল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই তা বন্ধ করা হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। অন্যক্ষেত্রে তা চলছে বলেও জানান হয়েছে সংস্থার তরফে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সাধারণত আর্থারাইটিসের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

এদিকে, অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির (remdesivir) কোভিড-১৯ রোগীদের সারিয়ে তুলতে আপদকালিনভাবে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এটি প্রথম ওষুধ যা ব্যবহার করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিয়ে কোভিড রোগীদের মধ্যে উন্নতি দেখা হয়েছে। মে মাসে আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন জরুরি পরিস্থিতিতে এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। শুধু তাই নয়, জাপানিজ হেলথ রেগুলেটরসের তরফেও মিলেছে অনুমোদন। এবার এই দুটি ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.