অবশেষে নিজের হৃত সম্মান ফিরে পেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ৫ ডিসেম্বর এসে ঢুকতে না পারলেও মঙ্গলবার এসে ঢুকলেন বিধানসভার সেই তিন নম্বর গেট দিয়েই। তাঁকে স্বাগত জানান বিধানসভার যুগ্ম সচিব পার্থ বিশ্বাস। তাতে খুশি হলেও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তিনি যে কেন্দ্রের ঘোষিত অবস্থানেই রয়েছেন, তা এ দিন ফের স্পষ্ট করে দেন।
৫ ডিসেম্বর বিধানসভায় গেট বিতর্কের পরদিনই ৬ ডিসেম্বর অম্বেদকরের মৃত্যুদিনে তাঁর মূর্তিতে বিধানসভার বাইরে মালা দিতে যান রাজ্যপাল। সেদিনও তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। যদিও সেদিন বিধানসভা ঘুরে দেখা হয়নি। এর মধ্যে স্পিকারকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জানান, বিধানসভার কোন কোন জায়গা দেখতে তিনি আগ্রহী। মঙ্গলবার সেই মত ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এ দিন সকালে এসে রাজ্যপাল প্রথমে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে যান। সেখান থেকে যান মুখ্যমন্ত্রীর আসন দেখতে। বিরোধী দলনেতার আসনও দেখেন রাজ্যপাল। তারপর ট্রেজারি বেঞ্চ নিয়ে জানতে চান রাজ্যপাল।
এরপর তিনি যান বিধানসভার স্পিকারের ঘরে। লবিতে মণীষীদের তৈলচিত্র খুঁটিয়ে দেখেন। তারপর বিরোধী দলনেতার ঘর দেখে লন দিয়ে হেঁটে লাইব্রেরিতে যান।
লাইব্রেরিতে যাওয়ার পথেই দেখা হয় কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের সঙ্গে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিধায়ক। রাজ্যপাল তাকে বোঝান, নাগরিকত্ব আইন দেশের ভালর জন্যই। অহেতুক এই নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করায় তিনি যে ক্ষুব্ধ বারবার প্রকাশ্যেই তা বলেছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার কংগ্রেস বিধায়কের ক্ষোভপ্রকাশের পরেও রাজ্যপাল বোঝালেন তিনি আছেন কেন্দ্রের অবস্থানেই। বিধানসভা থেকে বুঝে সাংবাদিকদের সামনেও সেই একই কথা বলেন তিনি।l)